বাংলাদেশের বৌদ্ধদের বিহার-বাড়িঘরে হামলা শ্মশান দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২৪

ওয়াশিংটন বড়ুয়া। বাংলাদেশের বৌদ্ধদের, বৌদ্ধ বিহার ও বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ, শ্মশান দখলের প্রতিবাদ-বিচার দাবিতে বিক্ষোভ ও ঐক্যসমাবেশ সমাবেশ করেছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে হাজারো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এই সমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার প্রতি-বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও শ্মশান দখলের বিচার দাবি করা হয়।

পাশাপাশি বৌদ্ধদের নিরাপদ ও শান্তি বজায় রাখতে সমাবেশে সাত দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।সমাবেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবিগুলো হচ্ছে-
(১)চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার মছদিয়া গ্রামে শত বছরের প্রাচীন বৌদ্ধ শ্মশান গত ৬ আগস্ট অবৈধভাবে দখল করেছে; অবিলম্বে সেই শ্মশান দখলমুক্ত করা,
(২)চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালী, হাঁটহাজারী, কক্সবাজারের উখিয়া, কুমিল্লা, খাগড়াছড়িসহ যেই সকল বৌদ্ধ পল্লীতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্চুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা,
(৩) নিরাপদ ও শান্তি রক্ষার জন্য বাংলাদেশের সমগ্র বৌদ্ধ পল্লীতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা,(৪) সম্প্রতি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার ধুতাঙ্গসাধক ড. এফ দীপংকর মহাথেরোর হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি,
(৫)সংসদে ১০ শতাংশ সংখ্যালঘুর আসন বরাদ্দ,(৬)আইনগত মাইনোরিটি ট্রাইব্যুনাল গঠন
(৭) বাংলাদেশ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর করা।

বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমাজের ব্যানারে সমাবেশে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার হাজারো বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা নানা দাবি-দাওয়া সম্বলিত ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে অংশ নেন। পরে সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেস ক্লাব, জামালখান, চেরাগি মোড় হয়ে আন্দরকিল্লা ঘরে পুনরায় জামালখান, কাজিরদেউরি, লাভলেইন হয়ে নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারের গিয়ে শেষ হয়।