সাতক্ষীরা টিটিসি’র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যসহ অর্ধকোটি টাকার অনিয়ম-দূনীর্তির অভিযোগ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৫২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪

মোঃমাসুম বিল্লাহ।সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের (টিটিসি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে এম মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ভবন সংস্কারের নামে ভুয়া টেন্ডার ও ভাউচার,সকল মালামাল ক্রয়ে ঘুষ গ্রহন, নিয়োগে বানিজ্য, বিভিন্ন ট্রেডে ঘুষ নিয়ে ভর্তি, পিডিও ভর্তির সরকারী টাকাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় অর্ধকোটি টাকার অনিয়ম-দূনীর্তির অভিযোগ উঠেছে। আর এসব দূর্নীতির সহযোগি হিসেবে কাজ করেছেন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি টিটিসি’র সাবেক জব প্রেসমেন্ট অফিসার(জেপিও) বর্তমানে চাকুরী নেই আরিফুল ইসলাম।

অনুসন্ধানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কে এম মিজানুর রহমান ২০২০ সালের ২৩ জুলাই যোগদান করেন। যোগদানের পর সরকার ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে একাডেমিক ভবন, ডরমেটরি ভবন, টয়লেট মেরামত ও সংস্কার এবং রং করা বাবদ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন। কিন্তু ভবন সংস্কার ও মেরামত না করে নামেমাত্র ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার টয়লেট মেরামত করে নিজের ক্ষমতাবলে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরী করে বরাদ্দকৃত সরকারী সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। যা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা বিষয়টি নিতিশ্চ করেছেন।

অথচ ডরমেটরি ভবনের পেছনের ড্রেনলাইনসহ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর গাথুনি ও মাটি সরে যাওয়াতে ভবনটি বর্তমানে ঝুকিঁতে রয়েছে। যা এক্ষনে মেরামত ও সংস্কারের প্রয়োজন।থাকায় অধ্যক্ষ স্যার আমার বিভিন্ন সেক্টরে কাজে লাগায়। এমনকি মালামাল ক্রয়সহ একাধিক কমিটিতে অধ্যক্ষ স্যার আমার নাম দিয়েছেন। আমি দুই একজনের সুপারিশ করে চাকুরী দিয়েছি তবে কোন অর্থ নেই নাই। ওটা অধ্যক্ষ স্যারই ভালো জানেন। আবাসিক খাবারের দায়িত্বে আমি ও স্যারের স্ত্রী ফেরদৌসি আছি। এমনকি টিটিসিতে এজেন্সির ব্যবসার করার বিষয়টি তিনি সত্যতা স্বিকার করেন।

এ সব বিষয়ে সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্রের (টিটিসি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে এম মিজানুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে, তিনি বলেন- আমি এসব বিষয়ে কিছুই ভরতে পারবো না। পারলে আপনি আমাদের হেড অফিস থেকে জেনে নেন।উল্লেখ্য, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে এম মিজানুর রহমান তার পূর্বের কর্মস্থল চুয়াডাঙ্গা টিটিসিতেও এই ধরনের অনিয়ম দূনীতি ও অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িত থাকার কারণে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও বিএমইট কর্তৃক তদন্তে প্রমানিত হয়ে জরিমানাসহ তিরস্কার ঘোষনা করা হয়। যা চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।