গোমাস্তাপুরে লিজ নেয়া জমি দখলে নিতে ৪ কৃষককে পিটিয়ে আহত দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৫:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২৪ মোঃ তুহিন ।চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমাস্তাপুর উপজেলার গোঙ্গলপুর গ্রামে লিজ নেয়া ৪৫২ বিঘা জমি দখলের চেষ্টায় ৪ জন কৃষক আহত হয়েছেন। (০৩-১০-২০২৪ ইং) বৃহস্পতিবার দুপুরে, নয়াদিয়াড়ী গ্রামের ধান দেখতে আশা কৃষক, ধুলু (৫৫) পিতা মৃত আব্দুল হামিদ মন্ডল, মোস্তাকিম (২৭) পিতা মোঃ উলা উদ্দিন, কুরবান আলী (৪০) পিতা মৃত শামসুল হক, রাজু আহমেদ,(২৬) পিতা মোঃ ধুলুকে কুপিয়ে জখম করেন, মামুন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা । পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গোমাস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে, জানা যায় গত পনেরো বছর আগে মোহান্ত এস্টেটের মালিক শ্রী ক্ষিতিশ চন্দ্র আচারির কাছ থেকে লিজ নেয় গোমাস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ী গ্রামের, মোঃ উলা উদ্দিন নামে একজন, লিজ নিয়ে ভোগদখল করে আসছেন তিনি সহ আরো ১৫০ জন কৃষক। ভোগ দখলে থাকা কালীন সময়ে শিবগঞ্জের মামুন বেলডাঙ্গা এলাকার কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক গোঙ্গলপুর গ্রামের ৪৫২ বিঘা জমি দখলের চেষ্টা করেন। এসময় কৃষকরা তাদের বাঁধা দিলে মামুন সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা তাদের মেরে গুরতর জখম করেন। জমির লিজ নেয়া মালিক ও কৃষকরা আরো বলেন, গত পনেরো বছর আগে মোহান্ত এস্টেটের মালিক শ্রী ক্ষিতিশ চন্দ্র আচারির কাছ থেকে বিঘা প্রতি ৫ মণ ধান চুক্তিতে জমি লিজ প্রদান করে মোহান্ত এস্টেটের মালিক, আমরা লিজ নিয়ে ভোগদখল করে আসছি, কিন্তু হঠাৎ করেই গত একমাস আগে, মামুন ও বেলডাঙ্গা এলাকার কিছু সন্ত্রাসী এসে বলে এই জমি আমাদের আমরা মোহান্ত এস্টেটের মালিক শ্রী ক্ষিতিশ চন্দ্র আচারির কাছ থেকে লিজ নিয়েছি, আপনারা এই জমি থেকে চলে যান। তা নাহলে আপনাদের মেরে পঙ্গু করে দেওয়া হবে। আমরা তাদের হুমকিতে ভয় না পেয়ে, মাঠে ধান চাষাবাদ করি। এনিয়ে গত পনেরো দিন আগে ধান দেখতে আশা ৮/৯ জন কৃষককে কুপিয়ে জখম করেছে মামুনের সন্ত্রাসীরা বাহিনী, এ ঘটনায় গোমাস্তাপুর থানায় মামলা এবং সেনাবাহিনীকে লিখিত অভিযোগ করলেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায়নি।কৃষকরা আরো বলেন আজ ৪ জনকে মেরে পঙ্গু করে দিয়েছে, যদি এরকম চলতে থাকে তাহলে আমাদের চাষাবাদ করা ফসল ঘরে তুলতে পারব না।ঘটনার বিষয়ে গোমাস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়ে শুনেছি এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: