চট্টগ্রাম পলিটেকনিকে হামলার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে প্রতিবাদ মিছিল

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৬:০০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

হাসিবুর রশীদ।।গত বৃহস্পতিবার (২১/১১/২০২৪ইং) চট্রগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রবেশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় ছাত্রদলের কর্মীরা। এতে আহত হয় অনেকেই। কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ গতকাল একটি বিবৃতিতে রবিবার সারা বাংলার সকল পলিটেকনিকে এমন হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচির ডাক দেয়।কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের ডাকে সাড়া দেয় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় ক্যাম্পাসে প্রধান ফটকে সবাই একত্রিত হয়ে শ্লোগান তোলে। এ সময়ে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল ষষ্ঠ পর্বের মেধাবী ছাত্র মোহাম্মদ ইলমান ফারাবী বলেন, “প্রিয় ছাত্র ভাইয়েরা, আপনারা সকলে জানেন গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম পলিটেকনিকের সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিবির ট্যাগ দিয়ে হামলা চালায় বহিরাগত টোকাইরা। তাদের হাত থেকে শিক্ষকরা পর্যন্ত ছাড় পায়নি। আমরা আমাদের এই অবস্থান থেকে তাদেরকে বলছি, পলিটেকনিকে যেন কোনো টোকাইদের অবস্থান না হয়। বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দিবো না। আমাদের রক্ত থাকতে আর কোনো ভাইদের রক্ত ঝরতে দিবো না। “লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্র প্রতিনিধি পরিষদের প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন বলেন, “সংগ্রামী ভাইয়েরা আপনারা অবগত আছেন বৃহস্পতিবারে চপইতে বহিরাগতদের হামলার কথা। যার প্রতিবাদে আজকে আমাদের এখানে অবস্থান। আমাদের অল্প কিছু দাবি রয়েছে, যেগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন থামবে না। দাবিগুলো হচ্ছে:

১.ক্যাম্পাসে সাধারন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চাই.
২. হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি চাই।
 ৩. ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
 ৪. শিক্ষকদের প্রতি সম্মান ও নিরাপত্তা চাই।
৫. সিপিআইতে যারা এমন দুঃসাহস দেখিয়েছে তাদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে।
৬. এলপিআইতে ১৬ই জুলাই অত্যাচারকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ছাত্র প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য রবিউল রকশি বলেন, “ভাইয়েরা আমার, আমরা আন্দোলন করেছি। আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে সরিয়েছি। আমাদের নয় দফার অন্যতম দাবি ছিল- ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা। আজ কীভাবে আমার ভাইদের উপর হামলা হয়? শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলে? কার এতো বড় সাহস? একবার যখন রক্ত দিতে শিখেছি প্রয়োজনে আবার রক্ত দিবো। আমাদের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না। প্রয়োজনে আবার রাজপথে নামব। তবুও আমাদের দাবি আদায় করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। “