চাটখিলে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে গুম-খুন করার হুমকি, থানায় এজহারের ২ মাসেও পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ২:২১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫ মোঃ হানিফ।। পত্রিকায় খবর প্রকাশের জের ধরে চাটখিল প্রেস ক্লাবের সদস্য দৈনিক জনকন্ঠের নিজস্ব সংবাদদাতা রুবেল হোসেন কে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে গুম-খুনের হুমকিদাতার বিরুদ্ধে থানায় এজহারের ২ মাসেও পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি। এতে করে সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে মামলা রেকর্ড না করা হলে সাংবাদিকেরা থানা ঘেরাও কর্মসূচি সহ যে কোন ধরনের কঠোর কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, চাটখিল উপজেলার শাহাপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম স্বপনের দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রেক্ষিতে তার অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা গত বছরের মে মাসেএকাধিকবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। ঐ ঘটনার সংবাদ দৈনিক জনকন্ঠ সহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করার নিদের্শ দেন। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্তে ঘটনার সত্যতার রিপোর্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম স্বপন, ম্যানেজিং কমিটির কাছে ক্ষমা চেয়ে আর কখনো এমন আচরণ না করার অঙ্গিকার করেন। তবে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে মোরশেদ আলম স্বপন ও তার লোকজন বিভিন্নভাবে সাংবাদিকদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত বছরের ১৮ নভেম্বর বিকেলে চাটখিল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে ঐ প্রধান শিক্ষক রুবেল হোসেনকে আক্রমণের চেষ্টা করে। এসময় প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম স্বপন প্রকাশ্যে জনসম্মুখে রুবেল হোসেনকে গুম ও খুন করার হুমকি প্রদান করেন। ঘটনার পরের দিন ১৯ নভেম্বর রুবেল হোসেন থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত কর্মকর্তা উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী নিয়ে রুবেল হোসেনকে থানায় হাজির করতে বললে, রুবেল হোসেন সাক্ষীদের নিয়ে থানায় হাজির হয় এবং সাক্ষীরা ঘটনার সাক্ষ্য প্রদান করে। তবে ২ মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মামলা রেকর্ড না করে উল্টো বাদীকে আপোষ করার প্রস্তাব দেয়। এতে করে সাংবাদিক রুবেল হোসেন আতঙ্কে দিন কাটছেন। এব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই টুটন মজুমদারের মুঠোফোনে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে যোগাযোগ করলে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা দিয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এবিষয়ে পুলিশ সুপার, ডিআইজি ও আইজি’র হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্ধ। SHARES সারা বাংলা বিষয়: