শ্যামনগর থেকে জবাইকৃত হরিণ ও ফাদ উদ্ধার দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫ মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ। । পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে জবাইকৃত অবস্থায় একটি সিংহল(পুরুষ) হরিণ উদ্ধার করেছে বনকর্মীরা। সোমবার সকালে দিকে মীরগাং টহল ফাঁড়ি সদস্যরা তাদের অফিসের প্রায় সাতশ গজ দুরবর্তী অংশ হতে উক্ত হরিণটি উদ্ধার করেন।এসময় বনকর্মীদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে চার সদস্যের শিকারী চক্রটি বনের মধ্যে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত হরিণ আলামত হিসেবে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানোর পাশাপাশি এঘটনায় মীরগাং টহল ফাঁড়ির ওসি গোলাম কিবরিয়া বাদি হয়ে মামলা করেছেন। অভিযানকালে ঘটনাস্থল থেকে ২৭টি ফাঁদ উদ্ধার করা হয়।সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জার হাবিবুল ইসলাম জানান নিয়মিত টহলকালে চুনকুড়ি টহল ফাঁড়ির সদস্যরা বনের মধ্য থেকে জবাইকৃত অবস্থায় একটি হরিণ উদ্ধার করেন। শিকারী চক্রের সদস্যরা আগেভাগে পালিয়ে যাওয়ায় হরিণটি নিয়ে তারা সোমবার দুপুরের দিকে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে সাতক্ষীরা আদালত চত্ত্বরে মাটিতে পুঁতে ফেলে নষ্ট করেছে। চারদিন আগে সুন্দরবনের মধ্য থেকে আরও প্রায় ৪০টি ফাঁদ উদ্ধারের পর একই চক্রের সদস্যরা স্থানীয় এক সিপিজি কর্মীকে মারধর করেছিল বলেও দাবি করেন তিনি।সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মশিউর রহমান জানান সুন্দরবনের মধ্যে জবাইকৃত হরিণ উদ্ধারের ঘটনায় চারজনকে আসামী করে মামলা দায়ের হবে। বনকর্মীদের অভিযানকালে যেসব ব্যক্তিরা দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছিল তাদেরকে আসামী করা হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।অভিযোগের বিষয়ে মীরগাং গ্রামের আনিছুর রহমান হরিণ শিকারের কথা অস্বীকার করে জানান তিনি সুন্দরবনে যাতায়াত করেন না। তবে ফাঁদ ও হরিণ উদ্ধারের পর বনকর্মীদের হুমকি দেয়াসহ সিপিজি সদস্যকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।এদিকে স্থানীয় একাধিক সুত্র জানিয়েছে চুনকুড়ি গ্রামের আনিছুর রহমান, আব্দুর রহিম সরদার, সাহেব আলী মোড়ল ও আবিয়ার রহমান সুন্দরবনের হরিণ শিকারের সাথে জড়িত। গত চার/পাঁচ মাস ধরে ঐ চারজনের নেতৃত্বে চুনকুড়ি ও মীরগাং এলাকা সিংলগ্ন সুন্দরবনে দেদারছে হরিণ শিকার হচ্ছে।বনকর্মীদের অভিযানে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কিছু ফাঁদ আটকের পর থেকে চক্রের সদস্যরা বনকর্মী ও সিপিজি সদস্যদের উপর হামলার পরিকল্পনা করছে বলেও তাদের দাবি। SHARES সারা বাংলা বিষয়: