৩৬ বছর পর মায়ের খোঁজ পেল সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল।

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৬:১৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
সিনেমার গল্পকেও হারমানিয়ে আজ ৩৬ বছর পর হারিয়ে যাওয়ার মায়ের খোজ পেলো ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার  বাঞ্ছারামপুর  থেকে গত ৩৬ বছর আগে ৩ বছরের শিশুপুত্র রেখে  হারিয়ে গিয়েছিলেন আইয়ুবপুর গ্রামের মোঃ আক্কাস মিয়ার স্ত্রী ১ সন্তানের জননী  ঝরনা বেগম/জরিনা বেগম।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে প্রায় ৩৬ বছর পর হারিয়ে যাওয়া ঝরনা বেগমকে (৬০) খোঁজে  পেয়েছেন তার সন্তান  সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল।
খোজ নিয়ে জানা গেছে  ১৯৮৮ সালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দূর্গারামপুর গ্রামের দারগা আলী ডিলার বাড়ি থেকে ৩ বছরের শিশুপুত্র রেখে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য  নিখোঁজ হয়েছিলেন ঝরনা বেগম। আত্মীয়স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে  ও ঝরনা বেগম এর কোনো সন্ধান পাইনি। ঝরনা বেগম এর সন্তান সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল বলেন, আমার বয়স যখন ৩ বছর তখন মাকে হারিয়েছি,মায়ের মুখটা ও মনে নেই,নেই কোন স্মৃতি, নেই কোন ভরসা। এখন আমার বয়স প্রায় ৪০ বছর, গত ৩০ বছর যাবৎ আমি মাকে খুঁজতেছি, যেখানেই পাকিস্তান থেকে লোক আসে- সেখানেই যাইত আশিক ,যখন বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই  মায়ের  খোজে আসিক।  পাকিস্তানের বিভিন্ন লোকজনের  সাথে যোগাযোগ শুরু করি কোন খবর নেই, নেই কোন রকম অস্তিত্ব চরম হতাশা, মনে আরও দুঃখ বেড়ে যায়। আর আল্লাহ কাছে বলেন, আর কত কষ্ট দিবে, আর কত ব্যাথা দিবে আর কত নিশ্ব করে রাখবে।  ভাগ্যের কি নিরম্মম ইতিহাস  হঠাৎ জানতে পারি দেশ ফেরা গ্রুপে মা জরিনা বেগম তার আদরের সেই ছোট জামাল কে খুজতেছে, দেশে আসতে চায় মা  জরিনা বেগম তার ছেলে ,  বাবা, ভাই, বোনের সন্ধান চায়, দেশে ফিরতে চায় এরই মাঝে  বাঞ্ছারামপুর প্রতিদিন গ্রুপের নজরে আসে এ থেকে একটি পোস্ট বাঞ্ছারামপুর এলাকা বাসির দৃষ্টিতে পরলে অন্য একটি ভিডিও আশিকুর রহমান জামাল কে দেখাতে আসে তার এক খালাত বোন তখন সে দেশে ফেরার সাথে আবার যোগাযোগ করতে থাকে।  আমার নজরে আসে সেই পোস্টের মাধ্যমে আজকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে  মায়ের সাথে কথা বলি আমার আত্মীয়স্বজন সবাই কথা বলে নিশ্চিত হই এটাই আমার মা ঝরনা বেগম, জরিনা বেগম  খুব শীঘ্রই মা বাংলাদেশ আসছে, আজকে ফেসবুকের কল্যাণে মায়ের সন্ধান পেয়েছি । তিনি আরও বলেন, মাকে খোঁজে  পেয়ে যেন আমার পৃথিবী খোঁজে  পেয়েছি নতুন করে একটা পৃথিবীর পেয়েছি । আমাকে ছোট রেখেই হারিয়ে যান জনম দুখি  মা। এখন আমি সংসার করছি ২ ছেলে ১ মেয়ে আছে। ধরেই নিয়েছিলাম মায়ের মুখটি আর কখনও দেখতে পারবো না কিন্তু কখনও মনে হয় নি যে মা নেই। ৩৬ বছর পর মা কে খোঁজে পাওয়ায় বাঞ্ছারামপুর প্রতিদিন ও দেশ ফেরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি আন্দনদে আত্মহারা হয়েছিলাম জনম দুংখি ২০২০ সালের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল। মা -বাবা, দাদা -দাদি, নানা নানি, সকলকে হারিয়ে চীর দুঃখী  হয়েও কাউকে বুঝতে দেয়নি এই কলম সৈনিক এ যেন এক মহা কাব্য করেছেন তিনি হার মানতে শিখেন নি, তারমুখ সব সময় থাকে সদা হাস্যউজ্জল ও হাসিখুশি ।এত বছর পর ঝরনা বেগমকে তার পরিবার খোঁজে  পাওয়ায় তিনি এবং তার পরিবার খুবই  আনন্দিত তবে তাদের মন খোলে কথা বলতে পারে না জরিনা বেগম। কারন অনেক বছর অন্য দেশে থাকায় বাংলা প্রায় ভূলেই গেছে।  মা -ছেলে চোখের জল ছাড়া আর কিছুই বুঝাতে পারেনি যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় ।অবশেষে দেশে ফিরতে চায় আর বাংলাদেশ এ্যমবাসি ও পাকিস্তানের এম্বাসি সহ দেশবাসি  সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন জনম দুঃখী আশিক ও তার পরিবার।