ঢাকা আলিয়ায় শিবিরের মাসব্যাপী ইফতারের আয়োজন।

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:৩৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২৫
মিয়াদ হাসান।।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা শাখার উদ্যোগে মাসব্যাপী শিক্ষার্থীদের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। আল্লামা কাশগরী রহ. হলের মসজিদে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৫০ জন শিক্ষার্থী ইফতার করছে।
রহমত, মাগফিরাত, নাজাতের মাস রমজান এই মাসে একজন রোজাদারকে ইফতার করানো অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। এই সওয়াবের অংশিদার হতে ঢাকা আলিয়া শিবিরের ব্যাতিক্রমী এই উদ্যোগ।
ঢাকা আলিয়ার হলে শত শত শিক্ষার্থীদের বসবাস। সবাইকে একসাথে ইফতারে পাওয়া কখনোই সম্ভব না। কিন্তু শিবিরের ব্যাতিক্রমী এই উদ্যোগের মাধ্যমে অনেকেই পাওয়া যাচ্ছে একসাথে ইফতারে, এতে করে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে। ছোট বড় সবাই মিলে একসাথে ইফতারে অংশে নিচ্ছে হল মসজিদে এবং ইফতারে পূর্বক্ষনে দেশ ও জাতির জন্য হচ্ছে দোয়া মোনাজাত।
মাসব্যাপী ইফতার আয়োজনের বিষয়ে ঢাকা আলিয়া ছাত্রশিবিরের সভাপতি মির্জা মোহাম্মদ সোলাইমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন রমজান: আত্মশুদ্ধি, সংযম ও ইসলামী ভ্রাতৃত্বের এক অপূর্ব প্রশিক্ষণ । পবিত্র মাহে রমজান মুসলিম উম্মাহর জন্য এক মহিমান্বিত মাস, যা তাকওয়া, ধৈর্য ও আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দেয়। এই মাসে আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অফুরন্ত সুযোগ করে দেন।
মহান আল্লাহ বলেন—  “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের উপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।” (সুরা আল-বাকারা: ১৮৩)  এই মহিমান্বিত মাসে মুসলিম উম্মাহর মাঝে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ও সংহতির বন্ধন দৃঢ় করাই মূল লক্ষ্য।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—  “যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, সে তার সমান সওয়াব লাভ করবে, তবে রোজাদারের সওয়াব এতটুকুও কমানো হবে না।” (তিরমিজি, হাদিস: ৮০৭)  এই শিক্ষাকে ধারণ করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া শাখা মাসব্যাপী ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করেছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে ইফতার করবে, ইসলামের শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করবে এবং তাকওয়ার পথে নিজেদের অগ্রসর করবে।
আমরা বিশ্বাস করি, ইফতার শুধু একটি খাবারের আয়োজন নয়; এটি পারস্পরিক সহমর্মিতা, ভালোবাসা ও ইসলামী ঐক্যের এক অনন্য প্রতিচ্ছবি। এই আয়োজনে শরিক হওয়ার মাধ্যমে আমরা রমজানের প্রকৃত তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারব এবং ইসলামের সৌন্দর্য আরও গভীরভাবে অনুভব করতে পারব।
আসুন, আমরা সবাই একত্রিত হয়ে এই মহতী উদ্যোগে অংশগ্রহণ করি, রমজানের বরকতকে নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করি এবং ইসলামের শান্তির বার্তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিই। আল্লাহ আমাদের এই প্রচেষ্টা কবুল করুন এবং এই রমজানকে আমাদের জন্য মাগফিরাতের কারণ বানিয়ে দিন। এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ।