গড়া নদীতে ভেসে উঠেছে কুমির আতঙ্কে এলাকাবাসী। দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:৪১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২৫ সৌভিক পোদ্দার।। ঝিনাইদহ শৈলকূপা উপজেলার বুক চিরে বয়ো যাওয়া নদীগুলো মধ্যে একটি বড় নদী গড়াই। এ নদীর খুলুমবাড়িয়া,মাদলা এলাকায় ৪ টি কুমির ভেসে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে বিগত ৩ মাস ধরে। এ ঘটনায় নদীপাড়ের জেলে ও স্হানীয় বাসিন্দা দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্হানীয়রা জানান,কুমিরের আাকার ৭ থেকে ৮ হাতের মতন হবে,সাথে রয়েছে আরও ৩ টি বাচ্চা। উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের খুলুমবাড়ি গ্রামের ঘাট এলাকা ঘুরে জানা যায়, নদীতে পানি কমে যাওয়ার হরহামেশাই দেখা মিলছে কুমিরের। এই এলাকায় ৩-৪টি কুমির বিচরণ করছে বলে স্হানীয়রা জানান। কুমির দেখতে নদী পাড়ে ভিড় করছে স্কুল শিহ্মর্থী ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীরা। নদীতে মানুষ ও গরু ছাগলের গোসল করাতে দেখা যায় নি। এ ঘটনায় নদী পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করছে সতর্কতা অবলম্বন করে। এদিকে উপজেলার খুলুমবাড়িয়া, মাদলার, শাহবাড়িয়া,গাংকুলা, চরপাড়া, নলখোলা সহ কয়েক গ্রামের নদীর পাড়ের বাসিন্দারের কুমির আতঙ্কে দিন কাটছে। শৈলকূপা খুলুমবাড়িয়া খেয়া ঘাটের মাঝি চম্বক কুমার দাস বলেন, ৩ মাস ধরে নদীতে কুমির দেখে আসছি। একটি বড় কুমির ও সাথে তিনটি ছোট কুমির। তিনি বলেন, রোববার সকালে গড়াই নদীতে কিছু যুবক ড্রোন উড়িয়ে বড় একটি কুমির ভাসতে দেখেছে এবং ভিডিও ধারণ করেছে। মাঝি আর ও বলেন, স্হানীয় প্রশাসন কুমির গুলো উদ্ধার না করতে পারলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মাদলা গ্রামের মৎসজীবি ওলিয়ার মোল্যা বলেন,এর আগে কোনো দিন নদীতে কুমির দেখা যায়নি। রোববার নদীতে খেয়া নৌকা করে মাছ ধরতে গেলে ৮ থেকে ১০ হাত দূরে কুমির দেখতে পাই। এ সময় বৈঠা দিয়ে তার পিঠের ওপর আঘাত করলে কুমির টি সরে যায়। পরে সেখান থেকে দ্রুত চলে আসি। তিনি আরও বলেন কুমিরের আকার হবে ৮ থেকে ৯ হাত। পিঠের ওপর সেওলা জমে আছে। মাদলা এলাকার হুসাইন জানান,কিছুদিন আগে জালে একটি কুমির জড়িয়ে পরে তা জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে যায়। খুলুমবাড়ি গ্রামের আছালত মোল্যা বলেন, তিন মাস ধরে নদীতে কুমির আতঙ্কে আছেন তারা। দিনে ৪ বার কুমির ভেসে ওঠে। একটি অনেক বড় আর ৩ টি খুব সম্ভব তার বাচ্চা। তার দাবী প্রশাসন কুমির ৪ টি উদ্ধার করে নদী পাড়ের মানুষের আতঙ্ক দূর করবেন। ঝিনাইদহ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃফরহাদুর রেজা, বলেন গড়াই নদীতে কুমিরের কোন ইতিহাস নেই। তিনি এখনো পর্যন্ত শোনেন নি নদীতে কুমিরের কথা। যদিও এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে বন বিভাগের মাধ্যমে তা উদ্ধার করে কুমির প্রজনন কেন্দ্রে অবমুক্ত করতে হবে। ঝিনাইদহ বন বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, শুনেছি গড়াই নদীর কুমিরের কথা। যদি সত্যি হয়ে থাকে পরিবেশের জন্য সুখবর। নদীতে কুমির থাকবে, মাছ থাকবে,জীববৈচিত্রের আরো অনেক কিছু থাকবে। এটা আগে ছিল। আমরা আশা করও নদী নালার আগের রূপে ফিরে আসুক। বন বিভাগ থেকে সেখানে লোকবল পাঠানো হয়েছে। তার ধারণা, হয়তো বর্ষার মৌসুমী কুমিরগুলো এসেছিল। উপযুক্ত পরিবেশের জন্য আর ফিরে যায়নি। নদীর পাড়ে মানুষ গুলো তার আবেদন তারা যেন কুমিরগুলোকে বিরক্ত না করে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: