কালো সোনায় রঙিন স্বপ্ন পঞ্চগড়ের কৃষক মানিকের দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:৩৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৫ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ আল মামুন।। পঞ্চগড় পঞ্চগড় সদর উপজেলার বুড়িরবান এলাকায় শোভা পাচ্ছে পেঁয়াজ বীজের সাদা ফুল আর এই সাদা ফুলের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে শংকর রায় মানিক নামের এক কৃষকের রঙিন স্বপ্ন।মানিক শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ১৮ বিঘা জমিতে কিং জাতের পেঁয়াজ বীজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন।এ ক্ষেতে স্থানীয় নারী পুরুষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে অনেকের।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর পেঁয়াজ বীজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে বলে জানিয়েছেন কৃষি অধিদপ্তর।সরেজমিনে সম্প্রতি দেখা গেছে,ক্ষেতে ৬০ জন নারী পুরুষ প্রতিদিন ৩০০ টাকা পারিশ্রমিকে কাজ করছে।উপার্জিত অর্থ দিয়ে পরিবারকে সহায়তা করছেন।কারও কারও মিটছে পড়ালেখার খরচ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে জেলায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ২১দশমিক ৩৬ হেক্টর তার মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৭ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ হয়েছে।বীজের টেকনিশিয়ান ভুবেন চন্দ্র রায় জানান, পরাগায়ন হয়ে থাকে মূলত মৌমাছির মাধ্যমে।তবে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে বীজের ক্ষেতে মৌমাছির আনাগোনা কমেছে।পরাগায়ন না হলে পেঁয়াজ ফুলে পরিপক্বতা আসে না।ফলে হাত দিয়ে কৃত্রিম পরাগায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি প্রতিদিন। কৃষক মানিক বলেন,১৮ বিঘা জমিতে বীজ হারভেস্ট পর্যন্ত প্রায় ২৪-২৮ লাখ টাকা খরচ হবে।বীজ উৎপাদনে দেশের কৃষক উপকৃত হবে এবং আমদানি নির্ভর কমবে।বীজ চাষে কৃষকেও আগ্রহী হবে।একরে ৭০০-৮০০ কেজি বীজ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ভাল মুনাফার আশা করছেন তিনি।তবে বেশী মুনাফা ভোগ করবেন মধ্যস্থ ব্যক্তিরা দাবী কৃষকের। পঞ্চগড় সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আসাদুন্নবী বলেন,আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা যাতে বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করতে পারেন,এজন্য কৃষি অফিস পরামর্শের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে আসছে।এতে উৎপাদন ভাল এবং কৃষক প্রচুর পরিমানে লাভবান হবে।আমাদের পেঁয়াজের বীজ যে আমদানি নির্ভরতা তার কিছুটা কমাতে সাহায্য করবে।মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের জন্য উপযোগী হওয়ায় এ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন জেলার অন্য কৃষকরাও। SHARES সারা বাংলা বিষয়: