ফরিদগঞ্জে ২য় বিবাহ করায় ভরণপোষণ বঞ্চিত ও শারিরিক লাঞ্ছনার শিকার বৃদ্ধ দম্পত্তি দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২৫ ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি।। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ২য় বিবাহ করার অপরাধে ভরণপোষণ বঞ্চিত ও শারিরিক লাঞ্ছনার শিকার বৃদ্ধ দম্পত্তি। এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ হলেও এলাকাতে দফায় দফায় শালিসী বৈঠকের নামে টালবাহানা করছে স্থানীয় একটি চক্র। ফলে বিচার বঞ্চিত হয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে গুরছে অসহায় এ বৃদ্ধ দম্পত্তি। ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৭ নং পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের উপাদিক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ৯ সন্তানের জনক ওই গ্রামের বয়বৃদ্ধ মো. রফিকুল ইসলাম (৯৩)’এর প্রায় ৫০ বছর পূর্বে প্রথম স্ত্রী মারা যায়। পরবতির্তে তিনি ২য় বিবাহ করেন, এর পর থেকে তার প্রথম স্ত্রীর ছেলে হানিফ মিজি বিভিন্ন ভাবে শত্রুতা পোষণ করে আসছে। কখনো সম্পত্তি দখলের চেষ্টা আবার কখনো অভিযুক্ত ছেলে হানিফ মিজির দ্বারা হয়েছেন হামলার শিকার। এছাড়াও তার ২য় পরিবারের সন্তানদের বসতঘর নির্মাণে বাধা ও হামলার মতো ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। সব মিলিয়ে ওই এলাকায় বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া । ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগের বাদী রফিকুল ইসলামের ২য় স্ত্রী রাশিদা বেগম বলেন, আমার স্বামীর আগের পরিবারে ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে থাকলেও সবাই ভালো। শুধু হানিফ মিজি আমার স্বামী ও সন্তানদের নানান ভাবে হয়রানি করে আসছে। ভরণপোষণ তো দেয়না, উল্টো আরো মারধর করে। আমার সন্তানদের বসতঘর করতে দেয়না। নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। রফিকুল ইসলামের পরিবারের বড় ছেলে মোস্তফা মিজি, ছেলে হাবিবুর রহমান রাছেল, রিয়াদ হোসেন মিজি বলেন, আমাদের ভাই হানিফ মিজি তার সঙ্গীয়দের নিয়ে একাধিকবার হামলা করেছে। আমাদের বসতঘর নির্মাণে বাধা দিচ্ছে। মৃত্যু পথের যাত্রি আমার বাবাকেও মেরেছে এবং ভরণ পোষণ দিচ্ছেনা। ভরণপোষণ না দেওয়ার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত হানিফ মিজি বলেন, আমার বাবার কোন সম্পত্তি নেই। আমার ভাই যেখানে ঘর করতে চায়, সেখানে আমার নিজের সম্পত্তি রয়েছে। প্রতিবেশি ইদ্রিস মিজি ও নাম প্রকাশ্যে আরো অনেকেই বলেন, তাদের পারিবারিক সম্পত্তি ও নানান সমস্যা নিয়ে একাধিকবার সমাঝোতার লক্ষে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু হানিফ মিজির অসহযোগিতার কারণে বিষয়টি সমাধান হয়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, এক পক্ষ মানলে আরেক পক্ষ মানছেনা, দীর্ঘদিনের এই সমস্যা তাই সমাধান হচ্ছেনা। ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহআলম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: