ধর্ষণ মামলায় পিতা-পুত্র গ্রেপ্তার: মিথ্যা দাবী করে এলাকাবাসীর মানববন্ধন দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৪:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২৫ মো:লুৎফর রহমান।। পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ওই পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবী, পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ার কারনে মিথ্যা মামলা করেছে। এবং এর কিছু প্রমানও মিলেছে। জানা গেছে, রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ঘোষেরহাট বাজারে বিএনপি অফিসে সালিসির কথা বলে উপস্থিত করে দুলাল গাজী ও তার ছেলে হৃদয় গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকেলে ওই মেয়েটির মা বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় মামলা দায়ের করলে বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার দেখান পুলিশ । দুলাল ও হৃদয় পেশায় রাজমিস্ত্রি। এ ঘটনার পরদিন সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এক ব্যানারে মানববন্ধন করেন কয়েকশত নারী-পুরুষ। তারা মামলাটিকে মিথ্যা দাবী করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবী জানান। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী হৃদয় গাজীর মা হাসিনা বেগম, চাচা হেলাল গাজী, দাদী জাহানারা বেগম, সাবেক ইউপি সদস্য মো. মিজানুর রহমান, এলাকাবাসী কাবুল চৌকিদার , মোঃ ছগির গাজী ও রাব্বি শেখসহ অনেকে। ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবী, তামান্না আক্তারের বাড়ীতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গেলে তার সঙ্গে হৃদয় গাজীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা বিয়েও করেন। একটা পর্যায় ওই মেয়েকে নিয়ে দুই পরিবারের সঙ্গে এলাকার কিছু লোক সালিশ মিমাংসা করে মেয়ের মা হাজের বেগম এর কাছে ফিরিয়ে দেন। কিছু দিন পরে ওই মেয়ে আবার হৃদয় গাজীর সাথে চালে যায় এবং ওই মেয়ের পিতা এচাহাক তালুকদার সে নিজে আবার ইসলামি শরাশরিয়া মোতাবেক বিয়ে দেন কিন্তু দুই মাস পর ওই মেয়ে তামান্না আক্তার বাড়ির পাশে মোরসালিন নামে এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা মিমাংসার চেষ্টা করলে ব্যার্থ হন। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহ শুরু হলে তামান্নাকে তার পিতা এচাহাক তালুকদার তার বাড়ি নিয়ে যান। ভুক্তভোগী হৃদয় গাজীর মা হাসিনা বেগম বলেন, সমস্যা মিমাংসার কথা বলে তামান্নার পরিবার লোকজন আমাকে এবং স্বামী ও একমাত্র পুত্রকে ঘোষেরহাট বাজারে বিএনপি অফিসে ডাকলে। পরে আমরা সেখানে উপস্থিত হলে। পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যান। পরে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দিয়ে জেল হাজতে দেন। ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মারুফ হোসেন জানান, ওই মেয়েটির মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে। তদন্ত শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: