নাটোরের লালপুর উপজেলায় বহুল আলোচিত মঞ্জুর হত্যা মামলার আসামি ও মাদক সম্রাট রায়হান(২৫) নিজ বাসা থেকে ইয়াবাসহ আটক

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৪৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২৫
নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড শিবপুর খানপাড়া মহল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসান আলী টুমনের(৪২) শ্যালক ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলার আসামি কামরুল ইসলামের(৬৫) ছেলে রায়হান (২৫)গত (২৯ মার্চ ২০২৫ খ্রিঃ )তারিখ ভোর ০৪.০০ ঘটিকায় খানপাড়া’র নিজ স্থায়ী বাসা থেকে পুলিশের অভিযানে আটক হয়েছে। রায়হানের বাসা  তল্লাসী করে ৬০ পিস ইয়াবা পাওয়া গিয়েছে। তাকে আটক করে লালপুর থানা পুলিশ প্রশাসনের সহয়তায় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে । স্থানীয়  বিশস্ত সূত্রে জানা গেছে যে, মঞ্জুর হত্যা মামলার অন্যতম আসামী রায়হান(২৫) আশে-পাশের বিভিন্ন  এলাকায় প্রতিদিন লক্ষাধিক  টাকার অবৈধ  ইয়াবা, বিদেশি মদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রিসহ ও নানাবিধ অবৈধ লেনদেন করত।রায়হান দূর্নীতিবাজ পুলিশের সাথে যোগসাজশে, যার কাছে ইয়াবা ও  মাদক বিক্রি করত,সেই  ক্রেতাকে আবার পুলিশের কাছে ফোন দিয়ে ইয়াবাসহ হাতে-নাতে ধরিয়ে দিত। এতে সে ও থানার পুলিশ উভয়ই মোটা অংকের ভালো পরিমান অবৈধ অর্থ আয় করত।পরে পুলিশও সেই আসামির কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা ঘুষ নিয়ে মাদকদ্রব্য ক্রেতা আসামিকে ছেড়ে দিত।এভাবে দূর্নীতিবাজ পুলিশ ও রায়হানের রমরমা ব্যবসায়ে কয়েকদিনেই উভয়ে বিপুল পরিমান অবৈধ অর্থ সম্পদের মালিক হয় বলে জানা গেছে। তারা এলাকায় কয়েকটি কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে। তারমধ্যে গোপালপুর পৌরসভায় তামিম নামে তার আপন ভাগ্নে একটি গ্যাং পরিচালনা করে। এই কিশোর গ্যাং এলাকায় রাতের আঁধারে তরুনী ও নারী ধর্ষণ, হুমকি-ধামকি ও বিভিন্ন শ্রেণীর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে যুগ যুগ ধরে। এলাকায় কেউ এদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না।নাটোর জেলাসহ আশেপাশের কয়েকটি জেলায় ও উপজেলায় এদের মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে।
মাদক ও ইয়াবা সম্রাট রায়হানের দুলাভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী হাসান আলী টুমনের আরেক অন্যতম সহযোগী অত্র এলাকার মৃত আবদুল মজিদের বড় ছেলে অবৈধ ডিস সংযোগ ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত শাহআলম মামুন (৫১)(এলাকায় কবি মামুন ও ডিস মামুন নামে পরিচিত)। এদের একটি কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে।  বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন  অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।