চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার মহাসড়কে ৬ লাইনে করার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সামনে মানববন্ধন করে আন্দোলনকারীরা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২৫

বাবলু নন্দী।।

চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার  মহা সড়কে ৬ লাইনে চালু করার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও কর্মসূচি পালন  করেন,রোজ রবিবার ৬.৪.২০২৫ইং.বেলা ১২:০৫ মিনিটে আন্দোলনকারী । প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনকারীরা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুজ্জামান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে আন্দোলনকারীরা বলেন ৩০ শে  এপ্রিল পর্যন্ত  নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করার ঘোষণা দেন। এই সময়ের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে কঠোর কর্মসূচি দিবেন বলেন আন্দোলনকারীরা। মানববন্ধনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার  বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার মহাসড়ক পর্যটন নগরী  কক্সবাজার এবং পার্বত্য  জেলা বান্দরবন যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। এই সড়ক ব্যবহার করে বিপুল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য রসদ  নেওয়া হয়। একটি সরু সড়কের চাপের কারণে প্রায় সময় দুর্ঘটনাও প্রাণ খানির  খবর শোনা যায়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন  সরকার    টানেল মত  অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প   বাস্তবায়ন করেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির প্রশস্ত করার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমরা অতি দ্রুতই মহাসড়ক কে  ৬ টি  লাইনে উন্নতি করার  দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধনে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি  আটনি জেনারেল ও ও লোহাগাড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট   ফরিদ উদ্দিন খান বলেন দুর্ঘটনা ও প্রান খানির কারণে মহাসড়ক কালো বিটুমিন রক্তে রঞ্জিত হয়। এক একটি দুর্ঘটনায় কয়েকটি পরিবার নিঃস্ব  হয়ে পড়েছে। আর প্রতিটি দুর্ঘটনার পর আমাদেরকে আশ্বাস করা হয় সড়কটি প্রশস্ত করার। কিন্তু দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কিন্তু এইবার দুর্ঘটনায় ১৬ জন প্রাণ খানির পর  চুনতির জাঙ্গুলিয়া সড়কের ওপর  স্পিড ব্রেকার ও দুটি ইট বসিয়ে দায় সারছে কর্তৃপক্ষ। আমরা লোক দেখানো এমন কাজ দেখতে চাই না। বাস্তবে এবং বর্তমানে এই মহাসড়কে আমরা ৬  লাইনে   দেখতে চাই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক মোঃ সোহাইব বলেন দেশের অন্যতম ব্যস্ত সড়ক এই সড়কটি পাড়ার গলির চেয়েও সড়কটি স্বরূ। তাছাড়া জাঙ্গুলিয়ার মত  কিছু জায়গায়  আঁকাবাঁকা  ঢালো রাস্তা দেখা যায়। সব মিলিয়ে রাস্তাটা  মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ৩০  এপ্রিলের মধ্যে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ না দেখি তাহলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্বস্তরে মানুষ নিয়ে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিব।