ঝিনাইদহে হানিট্র্যাপের চক্রের প্রতারক নারী-পুরুষ সিন্ডিকেটের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২৫
সৌভিক পোদ্দার।।
ঝিনাইদহ ২০ মে ২০২৫
ঝিনাইদহে কথিত প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব হাতিয়ে নিচ্ছে একটি সক্রিয় হানিট্র্যাপ চক্র। স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া বিয়ের কাবিননামা বানিয়ে ব্লাকমেইল করে কয়েকজন যুবকের কাছ থেকেও চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। আইনজীবী সহকারী (মোহরার), পুলিশ সদস্যসহ চক্রটিতে জড়িয়ে পড়েছেন কয়েকজন। তবে চক্রটির মূলহোতা আসমা খাতুন সাথী নামের এক নারী। তিনি বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে, ভুয়া কলরেকর্ড ফাঁসের হুমকি দিয়ে ও মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এসব অভিযোগে প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ভিকটিমরা। এসময় হানিট্যাপ চক্রের মূলহোতা আসমা খাতুন সাথীর শ্বশুরও কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতারক চক্রের মূলহোতা আসমা খাতুন সাথী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মানুষকে ফাঁদে ফেলে থানায় ভুয়া অভিযোগ দিয়ে প্রতারণা করে আসছে। ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা, অর্থ লেনদেনের মতো ভুয়া অভিযোগ দিয়ে একাধিক মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। পুলিশ ও আদালতের মোহরারকে দিয়ে মামলার ভয়-ভীতি ও গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে বহু মানুষকে হয়রানি করেছেন।
গুলশান আরা ও মর্জিনা খাতুন নামের দুই ভিকটিম অভিযোগ করেন, বারবার নিজের ঠিকানা পাল্টে, স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতি করে আসমা খাতুন সাথীর নেতৃত্বে চক্রটি বহু পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে। মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে সহজ-সরল মানুষকে ফাঁদে ফেলে প্রতিনিয়ত তারা টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। আদালতের মোহরার ও কতিপয় অসাদু পুলিশ সদস্যদের নাম ভাঙিয়ে ওই নারী বেপরোয়া মামলাবাজি করে চলেছে।
ভিকটিমরা জানান, সাথী ও তার চক্রের ফাঁদে পড়ে তিনটি সংসার ভেঙে গেছে। অনেক পুরুষ মামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। নারীরা মামলার ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছে না। এ পর্যন্ত ঠিকানা বদল করে প্রতারক আসমা খাতুন সাথী খুলনা ও ঝিনাইদহের আদালতে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ভুয়া অভিযোগে ৮টি মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলার বিচারকার্য শুরুর আগেই চক্রটি কথিত বিবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভয়-ভীতি দেখান। এক পর্যায়ে সহজ সরল মানুষগুলো চক্রের ফাঁদে পড়ে লাখ লাখ টাকা দিয়ে মামলা থেকে রেহায় পাওয়ার চেষ্টা করে আসছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আসমা খাতুন সাথীর সাথে কথা বলতে তার ফোনে কল দেওয়া হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।