বগুড়ার কাহালু আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া -৪ কাহালু – নন্দীগ্রাম এলাকার জামায়াত ইসলামী মনোনীত ও কাহালু আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা গভর্নিং বডির সভাপতি,কল্যাপাড়া আনোয়ারুল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক অধ্যক্ষ, উপজেলা পরিষদের ৩ বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান, বগুড়া জেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমীর বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মাও তায়েব আলী (৮০) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি,,,,,,,,,,,, রাজিউন।) ১ জুন রোববার সকাল ৯ টায় তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।উল্লেখ্য গত শনিবার সকালে তাঁর নিজ বাসভবন মালঞ্চা ইউনিয়নে গুড়বিশা গ্রামে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে আশংকাজনক অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় রোববার সকাল ৯ টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আগামী কাল সোমবার সকাল ৯ টায় মালঞ্চা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। অধ্যক্ষ মাও তায়েব আলী ১৯৪৬ সালে গুড়বিশা গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিন সোনারের ঘরে জম্ম গ্রহন করেন। শিশুকালে তাঁর শিক্ষার হাতে খড়ি হয় মাদরাসায়। বগুড়া সরকারি মোস্তাফাবিয়া কামিল মাদরাসা হতে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহন শেষ করে কাহালুর কল্যাপাড়া এলাকায় আনোয়ারুল উলুম নামে একটি দ্বীনি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে মাদরাসাটি আলিম ও ফাজিল মাদরাসায় রুপান্তরিত হলে ঐ মাদরাসায় তিনি অধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত হন। এর আগে তিনি কাহালু সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসায় কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। মওলানা তায়েব আলী ছাত্র জীবন থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলনের সাথে জড়িত থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বগুড়া জেলা ও কাহালু উপজেলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ইসলামী আন্দোলনের রাজনীতিতে একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে হওয়া স্বত্বেও শুধু মাত্র রাজনৈতিক প্রতি হিংসার শিকার হয়ে বেশ কয়েক বার তাঁকে কারা বরণ করতে হয়েছে।

তিনি ১৯৯০ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম বারের মত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ২০০৯ ও ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত টানা দুইবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মৃত্যুকালে তিনি ১ স্ত্রী ১ পুত্র ১ কন্যা সন্তান ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধা সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান। তাঁর মৃত্যুতে জামায়াতের রাজনৈতিক অঙ্গ সহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। আত্নীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, শিক্ষক, ছাত্র, রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, হিতাকাংখী, শুভাকাঙ্ক্ষী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাঁকে এক নজর দেখতে গুড়বিশা গ্রামের বাড়িতে ছুটে যান। তাঁর মৃত্যুতে কাহালু – নম্দীগ্রাম এলাকার সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মোশারফ হোসেন, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মোঃ ফরিদুর রহমান ফরিদ, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল মান্নান, পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ আনিসার রহমান আনিস, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক হাফিজার রহমান বাবু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ,খ,ম, তোফাজ্জল হোসেন আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন, আব্দুল করিম, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ভূইয়া, প্রভাষক শাহাবুদ্দীন সহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ শোক জানিয়ে শোক সন্তােপ্ত পরিবারে প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন।

এদিকে অধ্যক্ষ মাও তায়েব আলী মৃত্যুতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির শুরা সদস্য বগুড়া জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যক্ষ মোঃ শাহাবুদ্দিন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দীয় কমিটির সহ সভাপতি মোঃ গোলাম রব্বানী, বগুড়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল হক সরকার, সেক্রেটারি মানসুরুর রহমান, বগুড়া জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান মাও আব্দুল মোমেন,কাহালু আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রেজাউল আখলাক, শ্রমিক ফেডারেশনের বগুড়া জেলার সহ সভাপতি অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম বাদশা, কাহালু উপজেলা জামায়াতের আমীর মোঃ আব্দুস শাহিদ খান, নায়েবে আমীর মাও শহীদুল্লাহ, সেক্রেটারি শহিদুর রহমান সবুজ, সহ সেক্রেটারি প্রভাষক আব্দুল মোমিন সহ জামায়াতের সহ যোগি সংগঠনের পক্ষ শোক জানিয়ে শোক সন্তােপ্ত পরিবার প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন।