সিংগাইরে বিএডিসি অফিস তালাবদ্ধ, আসে না কর্মকর্তা-কর্মচারী, ভোগান্তিতে সেবা প্রত্যাশীরা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:০৯ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০২৫

রিপন মিয়া।।

দূর থেকে দেখতে  ডুপ্লেক্স বাড়ির মত হলেও এটি একটি সরকারি অফিস। এই অফিস সব সময় থাকে তালাবদ্ধ।  কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেখা মিলে না । জঙ্গলে ভরেগেছে সদর দরজাসহ পুরো চত্ত্বর। দেখভাল করার মত কেউ না থাকায় সরকারি অফিসটি এখন ভূতুরে বাড়িতে পরিনত হয়েছে। ফলে  বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) উপ-সহকারি প্রকৌশলী কার্যালয় সিংগাইর(ক্ষুদ্র সেচ) ইউনিটের গ্রাহকেরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত সেবা।  পড়েছেন ভোগান্তিতে।
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এ দেশের শতকরা ৮০ জন মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। আর সেই কৃষি সংশ্লিষ্ট  কর্মকর্তাদের উদাসিনতায় কৃষকেরা প্রতিনিয়ত পড়ছেন ভোগান্তিতে। এ যেন দেখার কেউ নেই।
ভুক্তভোগী উপজেলার কাংশা গ্রামের মো.বাবুল হোসেন বলেন,আমি ধান চাষের প্রজেক্টের জন্য বিদ্যুতের সংযোগ নিবো। এ জন্য বিএডিসি অফিসের ছাড় পত্র লাগবে। তার জন্য ৩ মাস যাবৎ ঘুরতে ঘুরতে শেষ। অফিসে কেউ আসে না। ফোন দিলেও গুরুত্ব দিচ্ছে না।

অপর এক সেবা প্রত্যাশী মো.আশরাফ উদ্দিন জানান,আঙ্গারিয়া মহল্লার সমবায় সমিতির আওতায় গভীর নলকূপের ড্রেন সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে  একটি আবেদন করি।  সেটি বিএডিসি  অফিসে তদন্ত দিলে তারা কেউ ব্যবস্থা নেয়নি। এ অফিসে বেশকিছু দিন ঘুরেও  কাউকে না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

অফিস সংলগ্ন  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজন বলেন,অনেক কৃষক এই অফিসে কাজের জন্য আসে। তালাবদ্ধ থাকায় ঘুরে যায়। তিনি আরো বলেন, অফিসার বা কর্মচারী কেউ আসেন না। সব সময় তালা দেয়া থাকে।
সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুরে অফিসের মুল ফটকে তালা ঝুলানো দেখা যায়। অফিসের আশে-পাশের ব্যবসায়ীদের  সাথে কথা বলে জানাযায়,বেশকিছু দিন যাবৎ অফিসে তালা ঝুলানো থাকায় ভিতরে জঙ্গঁলে পরিপূর্ন হয়ে গেছে। অফিসের কোন কার্যক্রম দেখছেন না বলেও জানান তারা।

জানাগেছে,  বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি) কৃষি মন্ত্রনালয় সিংগাইর উপজেলায় উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের জন্য একটি অত্যাধুনিক  দু’তলা ভবন নির্মাণ করে দেন সরকার। ভবন নির্মাণের পর কিছুদিন অফিসে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা থাকলেও পরবর্তীতে তার দেখা মিলছে না। এতে অফিসের প্রবেশদ্বার জঙ্গলে পরিনত হয়েছে।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা রতন কুমার সরকার বলেন,সিংগাইর,মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া ৩টি  উপজেলা আমার দায়িত্ব। সিংগাইর অফিসে জনবল সংকট। তারপরও সপ্তাহ ২-৩ দিন অফিসে আসেন বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো.কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, এদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে ভালো জানা যাবে।    অতিরিক্ত দায়িত্বে যিনি  আছেন ৩ মাস অন্তর অন্তর  সেচ বিষয়ক সভা করেন । আমার জানামতে তারা  অফিসে আসেন বলেও জানান তিনি।