পাঁচবিবির আয়মা রসূলপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে জামায়াতে ইসলামী – মানবিক সহায়তা প্রদান

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০২৫
মোঃ আবু সুফিয়ান মুক্তার।।
জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসূলপুর ইউনিয়নের পূর্ব করিয়ার গ্রামে সম্প্রতি ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক অগ্নিকাণ্ড। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য খায়রুল ইসলামের বসতবাড়িতে অজ্ঞাত সূত্রে লাগা আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বসতঘর সহ পরিবারের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, খাদ্যসামগ্রী এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র। স্থানীয়দের প্রাথমিক ধারণা—পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রাতের আধারে আগুন লাগিয়েছে। এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে সর্বস্ব হারায় পরিবারটি।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুতই এগিয়ে আসে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। দলটির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করা হয় মানবিক আর্থিক সহায়তা।
সহায়তা প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অন্যতম সদস্য, জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের আমীর এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট-১ (সদর-পাঁচবিবি) আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী ডাঃ ফজলুর রহমান সাঈদ।
তিনি বলেন,মানবিক বিপর্যয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। জামায়াত শুধু রাজনৈতিক দল নয়—এটি একটি আদর্শিক ও মানবিক আন্দোলন। আমরা অতীতেও মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে থেকেছি, এখনো আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব ইনশাআল্লাহ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেনপাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, সহকারী অধ্যাপক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, পাঁচবিবি উপজেলা জামায়াতের আমীর ডাঃ মোঃ সুজাউল করিম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ আবু সুফিয়ান মুক্তার,ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ আহম্মদ আলী, সহকারী সেক্রেটারি মোঃ মুরশিদুল আলম সোহাগ,ইউনিয়ন বাইতুলমাল সেক্রেটারী মোঃ ফারজুল ইসলাম, ইউনিয়ন পেশাজীবী বিভাগের সভাপতি মোঃ নূহ নাজিউল হক, ইউনিয়ন শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিক সহ এলাকার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়—ঘটনার পর সবাই যখন নিরব, তখন জামায়াতই প্রথম আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। তারা শুধু সহযোগিতা নয়, আমাদের মানসিক শক্তিও দিয়েছে। আমরা আল্লাহর কাছে তাদের জন্য উত্তম প্রতিদানের দোয়া করি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এই মানবিক ভূমিকা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি প্রমাণ করে—রাজনীতি কেবল ক্ষমতার খেলা নয়, বরং মানুষের দুঃখে পাশে দাঁড়ানোই একজন রাজনৈতিক নেতার প্রকৃত দায়িত্ব। জামায়াতের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, অনুসরণযোগ্য এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য এক আশার আলো।