মামলা না তোলায় মারধর নাতী-নাতনী আর তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে নিয়ে আতঙ্কে আছেন বৃদ্ধ ছালেহা বেগম দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৩:২৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২৫ এস এম পারভেজ তালুকদার ।। নাতী-নাতনী আর তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে বৃদ্ধ ছালেহা বেগমের (৬০)। মামলা না তোলায় মেয়ে জামাইয়ের হাতে মারধরের শিকারও হয়েছেন তিনি। ভেঙে গেছে তার বাম হাতটি। প্রাণনাশের হুমকি মুখে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বৃদ্ধ ছালেহা বেগমের বাড়ি গুরুদাসপুর পৌর সদরের খলিফাপাড়া মহল্লায়। সেখানেই মেয়ে মাবিয়া (৩২), স্কুল পড়ুয়া নাতী ও নাতনীকে নিয়ে ভয়-আতঙ্কে কষ্টেকিষ্টে দিন পাড় করছেন। অভিযুক্ত মেয়ে জামাই উজ্জল হোসেন পৌর সদরের খোয়ারপাড়া মহল্লার আলাল প্রামাণিকের ছেলে। তিনি পেশায় ট্রলি চালক। ভুক্তভোগি ও অভিযুক্তের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, ২০০৬ সালে পারিবারিকভাবে মাবিয়া আক্তারের সাথে উজ্জল হোসেনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৯বছর বয়সি একটি ছেলে ও ১৬ বছর বয়সি একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে উজ্জল তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী সন্তানের খবর রাখেন না। খরচও দেন না। ভুক্তভোগি ছালেহা বেগম কাঁদতে কাঁদতে ইত্তেফাককে বলেন, মেয়ের সুখের জন্য জামাইয়ের নামে জমি কিনে দিয়েছেন। জীবিকার জন্য ট্রলিও কিনে দিয়েছিলেন। তারপও ৯ বছর আগে মেয়ে মাবিয়াকে সৌদিতে পাঠিয়ে দেন উজ্জল। সেখানে আয় করা টাকাও উজ্জলকেই পাঠানো হতো। মাবিয়া আক্তার বলেন, স্বামী-সন্তান রেখে প্রবাসে যাওয়ার ৭ বছর পর ১৮ মাস আগে তিনি ছুটিতে দেশে এসে জানতে পারেন স্বামী তাকে তালাক দিয়েছেন। সন্তান দুটোও তার মায়ের বাড়িতে আছেন। তখন ভরণপোষণের দাবি নিয়ে আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেন তিনি। মূলত সেই মামলাটি তুলে নিতেই অব্যহত হুমকি দিচ্ছিলেন উজ্জল। ভুক্তভোগি ছালেহা বেগম ইত্তেফাককে আরোও বলেন, সবশেষ ৩০জুন খামারনাচকৈড় মহল্লার জামাত মোল্লার বাড়ির কাছে একা পেয়ে তাকে পিটিয়ে যখম করেন উজ্জল। মারধরে বাম চোখ ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে বাম হাত। রাজশাহী মেডিকেলে অস্ত্রপচারের কথা বলেছেন চিকিৎসক। এখন তিনি মেয়ে ও নাতীনতনীকে সঙ্গে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন। এঘটনায় থানায় তিনি পৃথক একটি মামলাও দায়ের করেছেন। কিন্তু আসামিরা জামিনে এসে আবারো হুমকি দিচ্ছেন। সঠিক বিচার আর জীবনের নিরাপত্তা চান তিনি। তবে অভিযুক্ত উজ্জল হোসেন পলাতক থাকায় এ ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গুরুদাসপুর উপপরিদর্শক মো. এমরান বলেন, মামলাটির সঠিক তদন্তে করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।#মো. রাশিদুল ইসলাম ০১৭৫০-৯৫২৮৭৫ ০৬-০৭-২৫ SHARES সারা বাংলা বিষয়: