ছাত্র আন্দোলনের অগ্রভাগেই ছিলেন ছাত্রদল নেতা জিয়া দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২৫ মিজানুর রহমান।। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সৃষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন এরপর ১দফা দাবি আদায়ের মাধ্যমে স্বৈরাচার হাসিনার পতন পর্যন্ত রাজপথ আন্দোলনের অগ্রভাগেই ছিলেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমান খন্দকার (জিয়া) ঢাকা কলেজ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এই শিক্ষার্থী কে ১০ জুলাই সাইন্সল্যাব মোড় অবরোধ থেকে শুরু করে ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার পতন পর্যন্তপ্রতিটি কর্মসূচির অগ্রভাগেই দেখা গেছে। ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা যখন সাইন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে তখন এই ছাত্রদল নেতা কে নিজ অনুসারী কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেখা যায়। ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে রাজধানী কাকরাইল মোড়ে ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষ করে দুপুর ১২ টায় ছাত্রদল আয়োজিত দিনের ২য় মিছিলে ও উপস্থিত থেকেছেন এই নেতা। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা কর্মীদের সাথে একত্রিত হয়ে রাত ৮ টা পর্যন্ত শান্তিনগর মোড় অবরোধ চালিয়ে যেতে দেখা যায় জিয়াউর রহমান খন্দকার কে। ১৯ জুলাই ২০২৪ রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি সমাবেশের ডাক দিলে পুলিশ সমাবেশে বাধা দেয় ফলে রাজধানীর প্রেসক্লাব, সেগুনবাগিচা, শিল্পকলা, বিজয়নগর ও পুরানা পল্টনসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ শুরুর দিক থেকেই জিয়াউর রহমান খন্দকার প্রথমে কালভার্ট রোড়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ান এরপর বিকেল থেকে নয়া পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে অবস্থান নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের দেওয়া তালা ভেঙ্গে সামনে অবস্থান নেওয়া সহ পল্টন থানা এবং রমনা থানার পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে সময়ও সামনের সারিতেই দেখা যায়। ঐদিন পুলিশের তৎকালীন এডিসি গোলাম রোহানির নেতৃত্বে থাকা পুলিশের বিশেষ টিমের সাথেও সম্মুখে সংঘর্ষে জড়িয়ে গুলিবিদ্ধ হন আন্দোলনের সম্মুখে থাকা ঢাকা কলেজ এই ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ৩ই আগস্ট ২০২৪, এক দফা ঘোষণার দিন দুপুর থেকেই ছাত্রদল নেতা কর্মী ও অনুসারীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে আহত অবস্থায় ও প্রতিবাদী স্লোগান দিতে দেখা যায় এই নেতা কে। ৪ আগষ্ট ২০২৪ এক দফা দাবিতে ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সকালে শাহবাগ মোড়ে বিএসএমএমইউ হসপিটালে ভেতরে অবস্থান করা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষের সময় থেকে শুরু করে শেরাটন মোড়, বাংলামটর মোড়, কারওয়ান বাজার মোড় এবং সব শেষ ফার্মগেট মোড় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশের সাথে দিন ভর দফায় দফায় সংঘর্ষে সময়ও সড়কে উপস্থিতি থেকে সামনের সারিতে ছিলেন জিয়াউর রহমান খন্দকার। দিনের শেষভাগে পুলিশের অত্যাধুনিক অস্ত্রের আঘাতে যখন একের পর এক আহত ও নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে তখন আহত নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকা মেডিকেল হসপিটালে ছুটে যান এই ছাত্রনেতা। ৫ আগষ্ট ২০২৩ ইং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির দিন রাজধানীর চাংখার পোল মোড় হয়ে দুপুর ১২ টার মধ্যেই শাহবাগে চলে আসেন। এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলার সময় জিয়াউর রহমান খন্দকার বলেন এই আন্দোলনে আমি সহ আমাদের ছাত্রদলের সর্বস্তরে নেতা কর্মীরা জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন সফল করেছে। এই আন্দোলনে আমরা এমন কিছু কাজ করেছি যেগুলো হয়তো প্রকাশ্যে বলতে পারছি না। এই কাজের জন্য অবৈধ হাসিনা সরকার যদি টিকে যেত তাহলে নিশ্চিন্ত ফাঁসির দড়িতে ঝুলাতো। ৪ আগস্ট এক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এই ছাত্র নেতা বলেন কারওয়ান বাজার থেকে ফার্মগেট মোড় পর্যন্ত যারা ছিল তারাই জানে মৃত্যু কতটা নিকটবর্তী ছিল। অদৃশ্য বুলেটে আঘাতে পাশে থাকা কত প্রাণ যে নিভে যেতে দেখলাম যা মনে পড়লে আজও গা শিউরে উঠে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া জীবন নিয়ে এই আন্দোলনের মাঠ থেকে ফেরত আসতে পেরেছি। SHARES সারা বাংলা বিষয়: