শেরপুরে চাঞ্চল্যকর সেনা সদস্য হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব -১৪ দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৪:২৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২৪ মোঃ মুরাদ মিয়া।২০০৯ সালে শেরপুরের শ্রীবরদীতে চাঞ্চল্যকর সেনাসদস্য হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মো. বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪, জামালপুর। শুক্রবার দিবাগত রাতে তাকে ঢাকার পলওয়েল সুপার মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত বাবুল মিয়া ঝিনাইগাতী উপজেলার খৈলকুড়া গ্রামের আলী হোসেন এর ছেলে। র্যাব জানায়, ভিকটিম বটন কান্তি বড়ুয়া চট্টগ্রাম জেলার কোতয়ালী থানার আনোয়ারা এলাকার বাসিন্দা ও সেনা সদস্য ছিলেন। চাকুরির সুবাধে ভিকটিম স্ব পরিবারে ঢাকার মাটিকাটা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বসবাস করতেন। অপরদিকে বাবুল মিয়া একি এলাকায় বসবাস ও সবজির ব্যবসা করতো। এই সুবাদে তাদের মধ্য সখ্যতা গড়ে উঠে। এই সখ্যতার একপর্যায়ে ভিকটিমের স্ত্রীর গর্ভে পুরুষ সন্তান ধারণ না হওয়ার বিষয়টি আসামী মো. বাবুল মিয়াকে জানায়। এরপর ভিকটিম বটন কান্তি বড়ুয়াকে আসামী মো. বাবুল মিয়া সাথে নিয়ে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ষাটকাকড়া গ্রামে হাবিবুর রহমান কবিরাজের বাড়ীতে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসার টাকা নিয়ে তাদের মধ্য কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ভিকটিম বটন কান্তি বড়ুয়াকে হত্যা করে লাশ কবিরাজ হাবিবুর রহমানের ঘরের মেঝেতে পুতে রেখে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করার পর তারা উভয় পরিবার নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার ৪ দিন পর ভিকটিম বটন কান্তি বড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাবের একটি গোয়েন্দা সংস্থা ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের পরিবারের সদস্য ছোটন বড়ুয়া বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-১৫, তারিখঃ ১৪/০৪/২০০৯ ইং, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড । তদন্তকারী অফিসার মামলা তদন্ত শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার ঘটনার পর থেকেই আসামী মো. বাবুল মিয়া আত্মগোপনে চলে যায়। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎআসামী মো. বাবুল মিয়া জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মো. মোস্তফা কামাল ছদ্মনাম ধারন করে সবজি বিক্রেতার পেশায় নিয়োজিত ছিল। পরবর্তীতে, বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল, শেরপুর গত ০৩/১০/২০১১ ইং তারিখে আসামী মো. বাবুল মিয়াকে ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় সন্দেহাতীতভাবে অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করার রায় প্রদান করেন। পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদীর নেতৃত্বে এবং মেজর আহনাফ রাসিফ হালিম, র্যাব-১, সিপিসি-২, উত্তরা, ঢাকা এর সহায়তায় র্যাবের একটি আভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামী বাবুল মিয়াকে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করার নিমিত্তে ঝিনাইগাতী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: