দারিদ্রতার কষাঘাতে পৃষ্ঠহয়ে মৃত্যু যেন উকি মারছে বারে বারে কালীগঞ্জের গোপাল দাসের জীবনে

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:৩৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২৫
 শ্যামল কুমার মন্ডল।।
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের, দুই নাম্বার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের  চাচাই গ্রামের বাসিন্দা গোপাল চন্দ্র দাসের কিডনি এবং লিভার নষ্ট হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
 ঝুড়ি,খারা, কুলা বুনে গরীবানা মতে জীবন চলে গোপাল চন্দ্র দাসের। পরিবারের মা, স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হয় সংসার চালানোর জন্য।  নুন আনতে পান্তা ফুরায় সবসময় । একবেলা খেতে পারলেও অন্য বেলা থাকতে হয় অনাহারে। এর মধ্য দুটি কিডনি  নষ্ট হয়ে গেছে গোপাল চন্দ্র দাসের। শুধু তাই নয় ডায়াবেটিস ও বাসা বেধেছে তার শরীরে। সব মিলিয়ে যমে এবং মানুষে টানাটানি বেধেছে তার পরিবারে। মৃত্যু যেন কড়া নাড়ছে তার দুয়ারে।
 এলাকার স্বনামধন্য ডাক্তার গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ডাক্তার এখন তাকে ডায়ালাইসিস করানোর জন্য বলেছেন। কিন্তু এই ব্যয় বহুল চিকিৎসা করা  তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। একমাত্র বট গাছের মতো ছায়া দিয়ে রেখেছে শ্যামনগর টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের সহকারী অধ্যাপক বাবু রামকৃষ্ণ রায়। বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে এবং নিজস্ব অর্থায়নে গোপাল চন্দ্র দাসের চিকিৎসা করাচ্ছেন তিনি।
 সকলের আশীর্বাদ পেলেও জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন কিডনি রিপ্লেসমেন্ট। রিপ্লেসমেন্ট এর জন্য প্রয়োজন ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা। যার সংসার চলছে না তার পক্ষে এতগুলো টাকা জোগাড় কর বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাস্তু ভিটা  বলতে শুধু ঘর বাঁধার জায়গাটুকুই আছে গোপালের।
 গোপালের সাথে বিশেষ সাক্ষাৎকারে সময়,  চোখ দিয়ে ঝরছিল পানি আর বারবার আকুতি জানাচ্ছিল আমরা আমরা সবাই মিলে আমাকে বাঁচান। আমার মা এবং পরিবার পরিজনকে পারলে বেঁচে থাকার পথ দেখান।
  আসুন আমরা সকলে সাহায্য করে গোপালের জীবনটা আবার হাস্যোজ্জ্বল করি আগেরমত। যাই হোক জীবনের, জয় হোক মানবতার।