লমাকান্দায় উব্দাখালী নদীর পানি কমছে

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:৫১ অপরাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০২৪

কলমাকান্দা ।নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উব্দাখালী নদীর পানি ধীর গতিতে কমতে শুরু করেছে। তবে উব্দাখালী নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নদীর পানি কলমাকান্দা ডাকবাংলো পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, কলমাকান্দা সদরের সাথে গোবিন্দপুর, বিশরপাশা ও বরুয়াকোনা পাকা সড়কের কিছু অংশ নীচু স্থান ওপর দিয়ে পানি বয়ে যাচ্ছে। এতে করে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলা রোড- নয়াপাড়াসহ বাহাদুরকান্দা-বাসাউড়া, ঘোষপাড়া- হরিণধরা, কলমাকান্দা-সাউদপাড়া, মন্তলা- ইসবপুর, গোবিন্দপুর-রানীগাঁও, উদয়পুর-বড়খাপন, আরো বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে আছে।

বুধবার সন্ধ্যা এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সদর ইউনিয়নের বিশরপাশা এলাকায় চারটি পরিবারের বাড়িঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় তারা বিশরপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া ঢলের পানিতে আটটি ইউনিয়নের মধ্যে শতাধিক গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। গ্রামীণ রাস্তা-ঘাটে পানি ওঠায় স্থানীয় লোকজন যাতায়াতের ভোগান্তিতে পড়েন। গবাদি পশুর খাবার সংগ্রহ নিয়েও বিপাকে পড়তে হচ্ছে। পানিতে তলিয়ে আছে অর্ধ্বশত বিদ্যালয়ের বারান্দা এবং মাঠ।

খারনৈ ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বলেন, ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি কলমাকান্দা -হাট গোবিন্দপুর পাকা সড়কের বাউসাম বাজার সংলগ্নসহ রাস্তা কিছু অংশে ও খাকগড়া চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক ভেঙে পানি বয়ে যাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নেত্রকোনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উবদাখালী নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, ঢলের পানিতে উপজেলার কিছু নিম্নাঞ্চল আবারও নতুন করে প্লাবিত হলেও গত ত মঙ্গলবার রাত থেকে ধীর গতিতে পানি নেমে যাচ্ছে। পানিতে কিছু রাস্তাঘাট ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ তলিয়ে আছে। জরুরি মুঠোফোন নম্বর খোলা আছে। শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রস্তুত রাখা রয়েছে।