শরীয়তপুরে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা মাদ্রাসার শিক্ষকের

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২৪

রাকিব হাসান।শরীয়তপুরে‌ ভেদরগঞ্জের কালুমাঝী ইসলামিয়া নূরানী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ।ওই মাদ্রাসাটির শিক্ষক মুফতি ( সাইদুল ইসলাম ) তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগের ভিত্তিতে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর মা ।

ভুক্তভোগী জননী ওই শিক্ষার্থীর ,মায়ের অভিযোগ বিগত চার দিন আগে মামলা হওয়া সত্যেও এখনো ওই শিক্ষক’কে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।ঘটনার সূত্র গত শনিবারে শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের কোড়ালতলী এলাকায় কালুমাঝী ইসলামিয়া নূরানী হাফেজী মাদ্রাসায় ও এতিমখানায় ঘটেছে।।।

ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ওই ছাত্রীকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয় বর্তমানে শিশুটি বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।অভিযুক্ত শিক্ষক মুফতি ( মোঃসাইদুল ইসলাম (৩২) পিরোজপুর জেলার ভান্ডারীয়া উপজেলার হরিনপালা গ্রামের মোঃ( মজনু মিয়ার ) ছেলে।

ওই শিক্ষার্থীর মা জানান, ঘটনার দিন দুপুরে তার মেয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসার পরে তাকে শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তের দাগ দেখতে পান তিনি ।
তখন ভুক্তভোগীর মা মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,মাদ্রাসায় তার শিক্ষক হুজুর মোঃ ( মুফতি সাইদুল ইসলাম )তার সাথে খারাপ কাজ করেছে , পরে সে অচেতন হয়ে পড়ে।

দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ডাক্তার ও নার্স শারীরিক অবস্থা দেখে তার মেয়েকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন।।। তিনি আরও বলেন, “হুজুরের কাছে দিয়েছিলাম দ্বীনের শিক্ষা নিতে, সেই হুজুর আমার মেয়েকে খারাপ কাজ করল কিভাবে -তাহলে সন্তানের নিরাপত্তা কোথায়?
কোথায় দিব শিক্ষাগ্রহণ করতে? শিক্ষক বাবার সমতুল্য, আর সেই শিক্ষক যদি ভয়ের কারণ কীভাবে করতে পারল এই কাজ তিনি হুজুর হয়ে ? আমি আমার মেয়ের সাথে যে-ই খারাপ কাজ করেছে তার বিচার চাই।

ভুক্তভোগী শিশুটির দাদা আব্দুল লতিফ বেপারী বলেন, হুজুরের কাছে দিয়েছিলাম দ্বীনের শিক্ষা নিতে, সেই হুজুর আমার নাতনিকে এই অবস্থা করল । তাহলে সন্তানের নিরাপত্তা কোথায় , মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আহসান হাবিব আমদের কথা না শুনে উল্টো ওই হুজুরের পক্ষে কথা বলে। মামলা উঠিয়ে নিতে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দেয় অধ্যক্ষ আহসান হাবিব। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দিলাম।একটা শিশু যেখানে নিরাপদ নয় মানুষ সেখানে কিভাবে পড়তে দিবে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মুফতি মোঃ সাইদুল ইসলামকে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি, এবং তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসায় গিয়েও মেলেনি তার খোঁজ তিনি নাকি ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত মাদ্রাসায় আসেন নি ।

এবিষয়ে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মন্ডল এর সাথে কথা হলে তিনি জানান ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন আসামি পলাতক থাকায় এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না ,আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।