পাটের ফলন ও দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা, ভরসা পাট খড়ির উপর

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪

মো:সাজ্জাদ হোসেন।সোনালি আঁশে পরিচিত পাট এক সময় বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল। তবে দিন দিন দাম কমে যাওয়ায় সেই পাট চাষে কৃষকদের অনীহা এসেছে। এদিকে নানা কারণে পাটের ফলন এ বছর ভালো হয়নি। বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত মূল্য। তাই বর্তমানে পাটের ফলন ও বাজারমূল্য নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন চাষিরা।

ফরিদপুরের মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় এই অঞ্চলের পাট চাষে বেশ আগ্রহ রয়েছে। ফরিদপুরের প্রায় প্রতিটি উপজেলাতেই কম-বেশি পাট উৎপন্ন হয়ে থাকে। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এদিকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় পাটের ফলন এ বছর ভালো হয়নি। বর্তমানে বাজারমূল্য নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন স্থানীয় চাষিরা।

শনিবার (৩১ আগস্ট)সরেজমিনে দেখা যায়, পাটকাটা, জাগ দেওয়া, পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানো ও শুকানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। পাটের বীজ বপণ থেকে শুরু করে আঁশ ছাড়িয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা পর্যন্ত যে খরচ হয় তাতে করে বর্তমান বাজারদরে পাট বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন উপজেলার সাধারণ কৃষকরা। পাটের লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নিতে পাট খড়ির উপর ভরসা করছে কৃষকেরা। শুকনা পাটখড়ির ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে কৃষকরা বলছেন,

পাটখড়ি শুকানোর আগেই বিভিন্ন কার্বন ফ্যাক্টরির লোকজন কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নগদ টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছেন। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে ।উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস বলেন, বর্তমানে পার্টিকেল বোর্ড তৈরিতে ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে পাটখড়ি। পাটখড়ি থেকে কার্বন (চারকোল) তৈরি করা হচ্ছে। পরে সেগুলো বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। চীনসহ বিভিন্ন দেশে পাটখড়ি পুড়িয়ে পাওয়া কার্বন থেকে আতশবাজি, কার্বন পেপার, প্রিন্টার ও ফটোকপিয়ারের কালি, মোবাইলের ব্যাটারি, দাঁত পরিষ্কারের ওষুধ ও সারসহ নানা পণ্য তৈরি করা হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে চারকোল থেকে। এটা চলমান থাকলে পাটখড়ির চাহিদা বাড়বে। কৃষকরাও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।