কেন্দুয়ায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:২৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪

কোহিনূর আলম।নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় হামলা, ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ ওঠেছে ।সোহেল মিয়ার নেতৃত্বে আমিনুল ইসলাম ছোটন, সেলিম মিয়া, মানিক মিয়া, বাবুল মিয়া, মান্নান মিয়া গংরা এই হামলা, ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটনায় বলে অভিযোগ করে মোঃ আব্দুল্লাহ হোয়াটসঅ্যাপে জানান , আমার বসত ঘরে লুট করা মালামাল যার মূল্য ১২ লক্ষ টাকা, বাড়িতে আমার স্ত্রীর একটি শপিং সেন্টার ছিলো মালামালের পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা, আমার ঘর থেকে অলঙ্কার লুট করে যার মূল্য ৩ লক্ষ টাকা, নগদ টাকা ছিলো ১ লক্ষ বিশ হাজার এবং আমার আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকার হাফ বিল্ডিং ঘর ও দরজা ভাঙচুর করেছে । এবং দরজা জানালা পর্যন্ত খোলে নিয়েছে । আমার ছোট ভাইয়ের ঘরের আসবাবপত্র সব লুটে নিয়েছে যার মূল্য ৩ লক্ষ টাকা । সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের দিগর সহিলাটি গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ ও তার ভাইয়ের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে । হাফ বিল্ডিং বসত ঘর, হাফ বিল্ডিং শপিং সেন্টার ও টিনের বসত ঘরে যৌথভাবে হামলা ও ব্যাপক ভাংচুরের চিহ্ন রয়েছে অজস্র । হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়ে জানতে চাইলে বাড়িতে থাকা নিহত তাজুল ইসলামের মেয়ের জামাই তরিকুল ইসলাম ও আখতারুজ্জামান বলেন, ঘটনার দিন বাড়িতে কেউ ছিলেন না । ঐ সব কিছুই ওরা নিজেরাই করেছে ।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাই নি । অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।উল্লেখ্য গত ১৬সেপ্টেম্বর দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত জেরে তাজুল ইসলামের গং ও লেহাজ/আব্দুল্লাহ গং দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হোন তাজুল ইসলাম (৬০)। পরে ১৭সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করলে প্রতিপক্ষ আব্দুল্লাহ ও তার ভাইয়ের ফাঁকা বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে ।