চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:০৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২৪

জেমস রানা বিশ্বাস ।রাজধানীর কাওরান বাজার দেশের একটি বৃহৎ সবজি পণ্যের পাইকারি বাজার। যেখান থেকে রাজধানী ঢাকার প্রায় অনেক স্থানে সবজি সরবরাহ হয়। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, মাঝখানে কদিন বন্ধ থাকার পর, সেখানেও আগের মতো চাঁদাবাজি শুরু হয়ে গেছে। যদিও ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে আরও বেশি। আগে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা তোলা হতো আর এখন ভাঙানো হচ্ছে বিএনপির নাম। এমন পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীরা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। তাদের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসন নিষ্ক্রিয় থাকায় চাঁদাবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা আবারও বিপদে পড়েছেন। এই বিপদ শুধু তাদের মধ্যেই আটকে নেই, প্রভাব পড়ছে ভোক্তা শ্রেণির ওপরও। চাঁদাবাজির কারণে বাড়ছে চাল, ডাল, তেল, ডিম, চিনিসহ অনেক ভোগ্যপণ্যের দাম।এ অবস্থায় এসব এলাকাসহ পরিবহণ খাতে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে অবিলম্বে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, প্রশাসন, বিশেষত পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা কী? রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মাস পার হয়েছে। এখনো যদি চাঁদাবাজদের অরাজকতা চলতে থাকে, তাহলে এর দায় অবশ্যই প্রশাসনকে নিতে হবে। পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দিয়েছেন কিন্তু এখনো শৃঙ্খলা কেন ফিরে আসছে না?

ঊর্ধ্ব দ্রব্যমূল্যের কারণে সীমিত ও স্বল্প আয়ের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। পরিবহণ সেক্টরে চাঁদাবাজির কারণে দ্রব্যমূল্য আরও বাড়লে, জীবন মান আরও কঠিনতর হবে নিঃসন্দেহে।জনগণ সর্বস্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরি আসবে আশা করলেও এক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসেনি। দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ আশা করে, দেশের সর্বত্রই ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজদের কবল থেকে মুক্ত করতে সরকার ও প্রশাসন এগিয়ে আসবে।