কারা হেফাজতে ঢামেকে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা দিদার হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:২৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২৪

শেখ ফরিদ আহমেদ  ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালে কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। ওই হাজতির নাম আলীমুজ্জামান চৌধুরী (৫৮)  ।আজ রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাঁকে ঢামেকে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। আলীমুজ্জামানের গোপালগঞ্জ সদরের ঘোনাপাড়া এলাকার বাকা মিয়া চৌধুরীর ছেলে। তিনি বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা দিদার হত্যা মামলার  আসামী ছিলেন | আলিমুজ্জামানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কারারক্ষী নাজমুল হাসান  জানান, আজ রাতের দিকে হাজতি আলিমুজ্জামান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কয়েকজন কারারক্ষী তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। এরপর  রাত সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক হাজতি আলিমুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তাঁর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হবে ময়নাতদন্তের পর কারা আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরিবার সুত্রে জানা গেছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা ঘোনাপাড়া মোড়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের গাড়ি বহরে হামলা করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কর্মীরা। এসময় স্বেচ্ছাসেবকদলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী  দিদার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর আলিমুজ্জামান ঐদিন বিএনপির হামলায় তার ঘোনাপাড়াস্হ মার্কেট ভাংচুরের ও তাকে মারধর ও জখম করায় মামলা করতে গেলে তিনি ৫৪ ধারায় আটক করে পুলিশ তাকে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করে। হত্যার ৫ দিন পর নিহতের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদি হয়ে ১১৭ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। যেখানে আলিমুজ্জামানের নাম উল্লেখ ছিল। পরে ওই মামলায় আলিমুজ্জামান কে গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ রীমান্ড দাবি করলে আদালতের নির্দেশে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ১২ অক্টোবর শনিবার  সকালে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে আলিমুজ্জামান অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায় কারা কর্তৃপক্ষ। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নেওয়া হয় ফরিদপুর। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক আলিমুজ্জামানের অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে সন্ধ্যা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আলিমুজ্জামান কে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরিবারের স্বজনদের অভিযোগ, রিমান্ড শেষে জেলে আনার পর থেকেই খুব অসুস্থ ছিল আলিমুজ্জামান দ্রুত চিকিৎসা ব্যাহত হয় কারা কর্তৃপক্ষের আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এবং রিমান্ডে থাকা অবস্থায় পুলিশি হেফাজতে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে পরিবারের ।