কয়রায় কারিতাসের উদ্দোগে গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:০৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২৪

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল।। কয়রা উপজেলায় জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অভ্যন্তরীণ অভিবাসন ও মাইগ্রেশনের উপর এক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।১৮ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে  কারিতাস খুলনা অঞ্চলের ডিআরআর এন্ড সিসিএ প্রকল্প এই গোল টেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বিষয়ের উপর আলোচনা রাখেন খুলনা প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডঃ মোঃ ইসমাইল হোসেন।  উক্ত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সদর উদ্দিন আহমেদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ মামুনার রশিদ, কারিতাসের প্রকল্প সম্বয়কারী পবিত্র কুমার মন্ডল, ডিআরআর এন্ড সিসিএ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নূরুল ইসলাম কোম্পানি, অবঃ অধ্যাপক আ,ব,ম, আঃ মালেক, প্যানেল চেয়ারম্যান সরদার লুৎফর রহমান, ইউপি সদস্য আবু হাসান, কয়রা উন্নয়ন সমন্বয় সংগ্রাম কমিটির সভাপতি বিদেশ রঞ্জন মৃধা, সিপিপি সদস্য সাইফুল ইসলাম, পিপলস ফোরামের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, মনিরা ইয়াছমিন প্রমুখ।গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন, কয়রা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে বিভিন্ন দূর্যোগের মাত্রা প্রতি বছর বেড়েই চলেছে । নদ-নদীতে পলি জমার কারণে সাগরের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে নদী উপচে প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ন অঞ্চল। ফলে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে মানুষ হচ্ছে সহায়-সম্বলহীন। বাধ্য হয়ে অভ্যন্তরীণ অভিবাসন/মাইগ্রেশন সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা দরকার। তিনি আরো বলেন, এ ধরণের অনুষ্ঠান এই উপজেলার জন্য প্রথম তাই আজকের অনুষ্ঠানে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে।অনুষ্ঠানের ফোকাল পারসোন খুলনা প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডঃ মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মূলত দায়ী মানব সমাজ। মানুষের কারণে সকল প্রাণী, জীব-বৈচিত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বনভূমি উজাড়, কলকারখানা, যানবাহন ইত্যাদি বেড়ে যেয়ে কাবর্নডাই অস্কাইডের পরিমাণ বেড়ে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে হলে আমাদেরকে বেশী করে গাছ লাগাতে হবে।সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত সকলেই পরামর্শ প্রদান করে বলেন, কয়রায় যদি অভ্যন্তরীন অভিবাসন কমাতে চাই তাহলে টেকসই বেড়ীবাঁধ সহ পরিকল্পিত উন্নয়ন করা আবশ্যক। বৃক্ষরোপন ও বনায়ন বাড়াতে হবে, সৌর শক্তির ব্যবহার বাড়ানো, খাদ্য ও পানির অপচয় রোধ করা, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করা, পলিথিন, প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার কমানো, জমিতে জৈব সার ব্যবহার, কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেনের মতো অতি দূষণকারী গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যার কারণে দূর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমানো সম্ভব হবে। অনুষ্ঠান বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন।