বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নিহত ব্যক্তির লাশ উত্তোলন

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২৪

নাজমুলহুদা ।। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সোহাগ মিয়া (১৫) নামে একজনের মৃতদেহ চার মাস পর কবর থেকে তোলা হয়েছে।গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় পরিবারের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশের পর বুধবার তার মৃতদেহ তোলা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।সোহাগ মিয়া  নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বড়খাপন গ্রামের মো. শাফায়েত মিয়া’র ছেলে। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে নিজ এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মৃতদেহ তোলা হয়। এরআগে সোহাগের মৃত্যুর ঘটনায় গত ২০ আগস্ট ঢাকা ডিএমপি ভাটারা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন তার বাবা শাফায়েত। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ৯১ জনের নাম উল্লেখ’সহ অজ্ঞানামা আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।এবিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেট্রো উত্তরমালিবাগ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সিআইডিমোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সঙ্গে। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি দাফন করা হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে চিফ মেট্রোপলিটন বিজ্ঞ আদালতে মরদেহের ময়নাতদন্তের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ  আদালতের আদেশ পাওয়ার পর বুধবার সকালে মরদেহটি তোলা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  ইফতেখার হোসেনসহ কলমাকান্দা থানা পুলিশ। স্বজনেরা জানিয়েছেন, নিহত সোহাগ পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর নয়াবাজার এলাকায় বসবাস করতেন। গত ১৯ জুলাই শুক্রবার আসরের নামাজের পর বাসা থেকে বের হয়ে গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বাবা মো. শাফায়েত ছেলেকে খুঁজতে বের হয়ে শোনেন তার ছেলে হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে দেখতে পান গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছে সোহাগের নিথর দেহ। পরে হাসপাতালে থেকে বাড়ি ফিরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পারিবারিক কবরস্থানে সোহাগের মৃতদেহ দাফন করা হয়।