চৌহালী উপজেলা এনায়েতপুরে দিনে গরম, রাতে ঘন কুয়াশামাখা শীত

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

হাফিজ মোহাম্মদ হক  ।। দিন যত যাচ্ছে ততই রোদের প্রখরতা ও কড়া সূর্যের চাহনি ম্লান হচ্ছে। তবুও বেলা গড়িয়ে দুপুরের কিছু সময় রোদে শরীর মেলোনো কষ্টকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বেলা ১১ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত শ্রমজীবী মানুষ, যারা খোলা প্রকৃতিতে কাজ করেন, তাদের শরীর ঠিকই ঘেমে যাচ্ছে। তবে বিকেল গাড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই গায়ে জড়াতে হচ্ছে গরম কাপড়। সন্ধ্যা গড়িয়ে যত রাত হচ্ছে, ততই কুয়াশায় ঢাকছে প্রকৃতি। সকালে রাস্তা-ঘাট কুয়াশায় ভিজে যাচ্ছে। আবারও বেলা বাড়তেই ভেজা রাস্তা শুকাচ্ছে সূর্যের তেজে। এভাবেই দিনে গরম ও রাতে কুয়াশামাখা শীতে আবৃত হচ্ছে সিরাজগঞ্জ চৌহালী উপজেলা। ঘন কুয়াশার কারণে রাতে বিশেষ করে সকালের দিকে চলাচলে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। হেড লাইট জালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। আর ঠান্ডা গরমের লুকোচুরি খেলায় ফ্লু, অ্যাজমা, ডায়ারিয়ার, নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। এতে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। এনায়েতপুরের অটো রিকশাচালক হাবিব উল্লাহ  বলেন, আমি ভোরে ও রাতেই অটো রিকশা নিয়ে বেশি বের হই। কারণ ভোর বেলায় ভালো উপার্জন করা যায়। পরে সকাল ১০ টার দিকে বাড়িতে এসে খাবার খেয়ে সারাদিন কৃষি কাজ করি। সন্ধ্যায় আবার বের হতাম। কিন্তু শীত বাড়ছে। এখন তো আর সকালে ও রাতে বেশি বের হতে পারবো না। তারপরও পেটের তাগিদে মাঝেমধ্যে বের হতে হবেই। আরেক অটো রিকশা চালক বলেন, আমি তো শীতেই বেশি ভয় পাই। কারণ, শীত আমাদের জন্য উপার্জন কমে যাওয়ার একটি মৌসুম। চালকদের জন্য শীত উপার্জন কমে যাওয়ার মৌসুম হলেও কৃষকদের জন্য লাভের মৌসুম। লাভের আশায় শীতে নতুন করে শাক-সবজির চাষাবাদ শুরু করছেন কৃষকরা।এদিকে, শীতের অনুভূতি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতকালিন নানা খাবারের পসরা সাজিয়ে এনায়েতপুরে ফুটপাত ও হাট বাজার বসছেন। জমে উঠছে পিঠার বেচাবিক্রি। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাবিক্রি। একই চিত্র শীত কাপড়ের দোকানগুলোতেও। আর এনায়েতপুর কেজির মোড় ও এনায়েতপুর থানা মার্কেটে, বাজার এলাকার ফুটপাতের দু’পাশে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। যেখানে কমদামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শীতের গরম কাপড় কিনছেন।