হাফিজ মোহাম্মদ হক ।। চৌহালী উপজেলা এনায়েতপুরে জমে উঠেছে শীতবস্ত্র বেচাকেনা। মাস শেষ হয়ে হেমন্তের মাঝখানে শীতের আমেজ পড়ছে এনায়েতপুর  এলাকায়। অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতেই শীত যেন জেঁকে বসেছে।শীতের পাশাপাশি সব খানেই পড়ছে হালকা কুয়াশা। আর শীত শুরুতেই এনায়েতপুর  থানার বিভিন্ন হাটবাজার ও ফুটপাতে চলছে শীতবস্ত্রের জমজমাট বেচাকেনা। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষসহ প্রায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ফুটপাতের বাজার থেকে শীতের কাপড় কেনা শুরু করেছে।শীতে সর্দি,কাশি,ঠান্ডাসহ শীতকালীন নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে শীতবস্ত্রের বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন এনায়েতপুর বাসি। তাই কিনছেন হালকা ও মাঝারি ধরনের গরম পোশাক।  গতকাল  শুক্রবার দুপুরে এনায়েতপুর থানা মার্কেট দেখা যায় ক্রেতাদের ভীড়। শুধু তাই নয়,এনায়েতপুর হাসপাতাল গেট সামনে,এনায়েতপুর কেজির মোড়  মার্কেট, গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে শীতবস্ত্র বেচাকেনা।প্রতি শুক্রবার সাপ্তাহিক হাটে এনায়েতপুর তালতলা রাস্তার দুপাশে ও রাস্তার কিছু অংশে  নামী দামী কম্বল,চাদর,শীতবস্ত্র ছাড়াও কাজিপুরের জুট কাপড়ের কম্বলও বিক্রি হচ্ছে। এনায়েতপুর তালতলা রাস্তার কসাইপটি মোড় দুপাশে বিক্রেতারা বসেছেন গরম কাপড়ের পসড়া সাজিয়ে, এতে যান জটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সারা বছর এ সুযোগ পাওয়া যায় না বলেও জানান।ব্যবসায়ীরা বলেন,গত বছরের চেয়ে এবারে শীত আসতেই ক্রেতারা আগে ভাগে শীতের কাপড় কেনা শুরু করেছে। ক্রেতা টুম্পা, নাহার, বলেন,আমরা গরিব মানুষ।দামী শীতের পোষাক কেনার মত সামর্থ্য নেই।তাই শীত পড়ার আগেই কিছু শীতের পোশাক কেনার জন্য ফুটপাতের মার্কেটে এসেছি।সরেজমিনে এনায়েতপুর  মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শীত বস্ত্রের মধ্যে বেশি বেচাকেনা হচ্ছে ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের কাপড়। মাথার টুপি,পায়ের  হাতের মোজা,মাপলার,সুয়েটার,জাম্পার,গেঞ্জি আর জুট কাপড়ের কম্বল।দোকানীরা এ বছর দাম একটু বেশি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন সাধারন ক্রেতারা।