চাঁদা না দেওয়াই কাল হলো ইউপি সদস্য আরিফের দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২৫ মো:শরীফ হোসেন।। মৃত্যু অবধারিত। তাই বলে নিজ আবাস ছেড়ে রাস্তার পাশে লাশ পড়ে থাকা কারোরই কাম্য নয়।তার উপর মৃত্যু যদি হয় অপহরণকারীদের দ্বারা। সত্যিই একে দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিই বলা যায়? তবে অপরাধী অপরাধ করে ছাড় পায়নি।অপরাধীদের ব্যবহৃত মোবাইল এবং অপহরণকালে ব্যবহৃত গাড়ির জিপিএসএ ট্রাকিং করে অপরাধ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে পিবিআই। আরিফ মেম্বারের হত্যার সাথে জড়িত অপহরনকারীকে ০৩/০১/২০২৫ তারিখ অনুমান ০৩.০০ ঘটিকায় ময়মনসিংহের কোতয়ালী থানাধীন দাপুনিয়া খেজুরতলা মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ০১। আশিকুর রহমান (৩৫), ২। রাহাত হোসেন তন্ময় (২৫), ৩। মোঃ পরশ চৌধুরী শ্রাবণ (২৯) এবং ৪।এহতেশামুল হক নিশাত (২৫) তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৩/০১/২০২৫ তারিখ অনুমান ০৩.০০ ঘটিকায় ময়মনসিংহের কোতয়ালী থানাধীন দাপুনিয়া খেজুরতলা মোড় এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আসামী ০১। আশিকুর রহমান (৩৫) পিতা-মোঃ সোলায়মান, মাতা-মৃত নাজমা বেগম সাং-কুতুবপুর, পোস্ট-শিবচর, থানা-শিবচর, জেলা-মাদারীপুর; ২। রাহাত হোসেন তন্ময় (২৫), পিতা-ইসমাইল হোসেন, মাতা-সুলতানা রাজিয়া, সাং-কুমারগাতি, থানা-হালুয়াঘাট, জেলা-ময়মনসিংহ; ৩। মোঃ পরশ চৌধুরী শ্রাবণ (২৯), পিতা-মৃত দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, মাতা-রুকসানা আক্তার, সাং-গনেশপুর, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-রংপুর ও ৪। মোঃ এহতেশামুল হক নিশাত (২৫), পিতা-মোঃ এমদাদুল হক, মাতা-জোৎন্সা আরা বেগম, সাং-রূপচন্দ্রপুর, থানা-তারাকান্দা, জেলা-ময়মনসিংহদের গ্রেফতার করা হয়। অপরাধে ব্যবহৃত হায়েস গাড়টি আলামত হিসেবে ঢাকা থেকে জব্দ করা হয়। গত ০৩/০১/২০২৪ তারিখে গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি প্রদান করেন। এ বিষয়ে পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ রকিবুল আক্তার জানান, আসামীরা অপহরণ চক্রের সদস্য। আসামী শ্রাবণ ঢাকায় অবস্থানরত লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার ৬নং পূর্ব কেরোয়া ইউনিয়নের মেম্বার ও ফার্ণিচার ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান এর তথ্য সংগ্রহ করে এবং তাকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা সাজায়। গত ২৫/১২/২০২৪ তারিখে আসামী শ্রাবণ ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে আসে এবং অবস্থান করে। এরপর গত ৩১/১২/২০২৪ তারিখে ময়মনসিংহ হতে তার বন্ধু তন্ময় ও নিশাতকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর চলে যায়। সেখানে গিয়ে আসামী শ্রাবণ সুকৌশলে ভিকটিম আরিফুর রহমানকে মিরপুর—১ নম্বর এলাকা থেকে ডেকে নেয়। ভিকটিম আরিফুর রহমান সেখানে আসামাত্র আসামী শ্রাবণ, আশিক, তন্ময় ও নিশাত মিলে তাকে ধরে ফেলে এবং প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে তাদের পূর্ব হতেই ভাড়া করে রাখা হায়েস গাড়ীতে উঠতে বলে। আরিফুর রহমান গাড়ীতে উঠামাত্রই তারা ময়মনসিংহের দিকে রওনা করে। আসামীরা জিম্মি আরিফুর রহমানকে বাধ্য করে তার স্ত্রীর কাছে মোবাইল ফোনে কল করতে এবং টাকা পাঠানোর জন্য এসএমএস করতে। বিকাশ নম্বর হিসেবে আসামী আশিকের একটি নম্বর দেয়। গাজীপুরে জ্যামে গাড়ী আটকে গেলে ভিকটিম নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করলে আসামীরা অপহরণের বিষয়টি যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্য ভিকটিমকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে আসামীরা ভিকটিমকে হত্যা করে তারাকান্দার পিঠাসুতাগামী পাকা রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের রানিং মেম্বার মো:আরিফ হোসেন(আরিফ মেম্বার) এর এমনি এক অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুও ঠিক এমনি হয়েছে। গত ৩১ শে ডিসেম্বর মিরপুর থেকে তুলে নিয়ে তাকে হত্যা করে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: