প্রেমের টানে নাটোরে এলেন মালয়েশিয়ার তরুণী,আজ বিয়ে।

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২৫
সাধীন আলম হোসেন ।। মালয়েশিয়ার তরুণী সৃতি  হাসনার সঙ্গে নাটোরের যুবক আনিছ রহমানের পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্য গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘ ১৪ বছর প্রেমের টানে অবশেষে নাটোরের গুরুদাসপুরে এলেন মালয়েশিয়ার তরুণী সৃতি হাসনা (৩২)। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকায় মায়ের সঙ্গে প্রেমিকের বাড়িতে আসেন ওই তরুণী।আনিছ রহমান (৪২) নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকার জলিল রহমানের ছেলে ও সৃতি হাসনা মালয়েশিয়ার একটি শহরের মশিন জাকরি’র মেয়ে। পরিবার জানান, ২০১০ সালে মালয়েশিয়ায় এক কর্মক্ষেত্রে নাটোরের ছেলে আনিছ রহমানের সঙ্গে মালয়েশিয়া তরুণী সিটি হাসনার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্য গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘ বছর ধরে চলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। ৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে দুজনের বাগদান সম্পন্ন হয়। তবে ভিসা জটিলতার কারণে ওই তরুণী বাংলাদেশে আসতে পারেননি। তবে প্রেমের টানে মাঝে মাঝে বাংলাদেশি যুবক আনিছ মালয়েশিয়ায় যেতেন। অবশেষে শনিবার সকালে ওই মালয়েশিয়া তরুণী নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এলাকায় প্রেমিক যুবকের বাড়িতে আসেন। সঙ্গে ছিলেন তার মা। আজ রবিবার নাটোর আদালতে তাদের বিয়ে হয়। ছোট ভাই হক সাহেব বলেন, আমার ভাই মালয়েশিয়া থাকা অবস্থায় তাদের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তুতি নিলেও নানা জটিলতায় তা হয়নি। আমার ভাই প্রেমের জন্য এত বছর অপেক্ষা করেছেন। দীর্ঘ ১৪ বছর পর কাল আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হবে। আমরা অনেক আনন্দিত। দীর্ঘ প্রেমের পর তারা একটি সম্পর্কে আবদ্ধ হচ্ছেন। পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছে। পরিবারের সবাই আনন্দিত।সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন। তারা যেন সুখে থাকেন। ৩নং খুবজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। মালয়েশিয়া থেকে একজন তরুণী খুবজিপুরে এসেছেন। তিনি যে উদ্দেশ্যে নাটোরে এসেছেন, তা যেন সফল হয়। তাদের দুজনের জন্য শুভ কামনা ও দোয়া রইল। প্রেমিক আনিছ রহমান বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছরের সম্পর্ক আমাদের। পারিবারিকভাবে দুজনের ইচ্ছায় বিয়ে হচ্ছে। আমাদের নতুন জীবনের জন্য সবাই দোয়া করবেন।