পৈতৃক সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণে বাধা দেয় জবরদখল কারি দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:০৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫ মোঃ রিপন শেখ।। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের হরিরহাট বাজারে নিজ জায়গা দখল নিতে গেলে বাধা আসে হাট কমিটি পক্ষ থেকে। ভূমিদস্যু ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে নিজ পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমি ফিরে পেতে বাধার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে দখলবাজরা স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে ওই জমি জবরদখল করা বিভিন্ন ধরনের পায়তারা করছে হরিরহাট বাজার কমিটি সদস্যরা।এই পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি ফিরে পেতে প্রশাসনের সুষ্ঠু সমাধান কামনা করছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। জানা যায়, উপজেলার হরির হাট বাজারের পাঁচ শতক জমির সকল কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও বড়দিয়া গ্রামের মৃত সিদ্দিক শেখের পুত্র রিজু আহমেদ ও তার পরিবার জমি ভোগ- দখল করতে পারছে না স্থানীয় কতিপয় দাঙ্গা বাজ ও দখলবাজের প্রভাবে। হরির হাট বাজারের বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তফা মাতুব্বরের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন দখলবাজ তাদের জমিটি দখল করে রেখেছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। মোস্তফা মাতুব্বর বলেন হরির হাট বাজারের দোকান ঘরের ভিটি প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাকিমিয়া দিয়েছিলেন এবং আশরাফ উল্লার ঘরের পরে হাটের ঘাটলা যাহা সরকারি পেরি ফেরি কৃত এবং নকশায় আছে সকলের বিষয়টি জানা আছে এবং পাস শতাংশ জমি রিজু আহাম্মেদ গংরা পাবেন, কিন্তু এই জমি নিয়ে মুনসেব কোর্টে একটি মামলা চলমান এইজন্য আদালতের ফায়সালা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ভুক্তভোগী রিজু আহমেদ বলেন, বাবার মৃত্যুর পরে আমি ও আমার পরিবার জীবিকার তাগিদে ঢাকায় অবস্থান করি,এই সুযোগে হরির হাট বাজারের কথিত বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মাতুব্বর সহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মিলে আমাদের জমিটি জবর দখল করে নেয়। আমাদের সকল কাগজপত্র সঠিক আর এস খতিয়ান – ৭৪৬ দাগ নং – ৯৯৫এস এ খতিয়ান নং – ৬৭৫ দাগ নং- ৯৯৫বি এস খতিয়ান – ২৭ দাগ নং – ১২৭৮নামজারী খতিয়ান- ১২০৩ দাগ নং – ১২৭৮,এর থাকার পরও আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে যেতে পারছি না। সম্প্রতি আমি আমার জায়গায় একটি ঘর নির্মাণ করলে। হরিরহাট বাজারের কথিত বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তফার নেতৃত্বে অন্তত ৫০- ৬০ জন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি-সোটা নিয়ে আমার ঘরটি ভেঙে ফেলতে আসে পরে ভাঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তায় আমরা প্রাণে বেঁচে যাই।ইতিপূর্বেও এইসব দখলদাররা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এই মর্মে বহুবার গ্রাম্য সালিশ এবং ভাঙ্গা থানায় দরবার -সালিশ হয় এতে কোন সুরাহা হয় না। আমি বলতে চাই সকল কাগজপত্র সঠিক থাকা সত্ত্বেও আমি কেন আমার পৈতৃক সম্পত্তি ভোগ করতে পারবো না। আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের কাছে ন্যায্য বিচার দাবি করছি। এবিষয় বণিক সমিতি সভাপতি মোস্তফা মাতুব্বর বলেন, হরিরহাট বাজার একটা গোলযোগ হয়েছিল আমি শুনেছি।কিন্তু আমি এর মধ্যে জড়িত না। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এসে এটা মিটিয়ে দিয়েছে।তারা একে অপরের ফুফাতো ভাই ও মামাতো ভাই আত্মীয়-স্বজন ।এই জায়গার ব্যাপারে কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে, যদি কাগজপত্র অনুযায়ী তারা পায় তাহলে তারা পাবে এখানে আমার কোন হাত নেই। SHARES সারা বাংলা বিষয়: