শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমূলক চুক্তি করেছিলেন: মৌলভীবাজারে সারজিস আলম দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:১৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫ এস.এম. আবু রায়হান।। জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বৈষম্যমূলক চুক্তি করেছিলেন, যার ফলে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ভারত তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে, তবে দেশ বা বিদেশ থেকে কেউ অন্যায় করলে তা মেনে নেওয়া হবে না। রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী কুরমা চা-বাগান মাঠে জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজিত চা-শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চা-শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বার্তা সারজিস আলম বলেন, “আপনাদের অধিকার রক্ষায় কোনো সিন্ডিকেট বা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। মনে রাখবেন, যারা অন্যায় করে, তারা সংখ্যায় কম। আপনারা ঐক্যবদ্ধ হলে শেখ হাসিনার মতো অন্যায়কারীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে।” তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনার দৃষ্টি সবসময় ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের প্রতি তার কোনো নজর ছিল না। চা-শিল্পেও শেখ পরিবারের প্রভাব রয়েছে। চা-বাগানে কোনো মদের দোকান থাকা উচিত নয়। শ্রমিকদের অনুরোধ করব, এসব মদের দোকান বন্ধে উদ্যোগ নিন।” চা-শিল্প রক্ষায় দাবি সারজিস আলম বলেন, “চা-শ্রমিকদের অবহেলায় রেখে চা-শিল্পের উন্নয়ন সম্ভব নয়। শ্রমিকদের মজুরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, বন্ধ হয়ে যাওয়া চা-বাগানগুলো চালু এবং ন্যাশনাল টি কোম্পানিকে (এন.টি.সি) শক্তিশালী করার দাবি জানাই।” অনুষ্ঠানের অন্যান্য বক্তারা চা-শ্রমিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলাই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরি। সঞ্চালনায় ছিলেন চা-শ্রমিক আপন বোনার্জী রুদ্র ও ভিম্পল সিংহ ভোলা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শ্যামলী সুলতানা জ্যানি আসাদুল্লাহ গালিব কুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউসুফ খান এছাড়াও বক্তব্য রাখেন চা-শ্রমিক কন্যা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাইরুন আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশী, চা-শ্রমিক নারী নেত্রী গীতা কানু এবং বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজমিন সুলতানা। সমাবেশের মূল বার্তা ছিল চা-শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রতি প্রত্যয়। SHARES সারা বাংলা বিষয়: