মেহেদী হাসান রাসেল।। লক্ষ্মীপুরে চেকপোস্ট বসিয়ে অবৈধ যানবাহনে অভিযান পরিচালনার সময় ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। এসময় পিটিয়ে আহত করা হয় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট সবুজ হোসেন, কনস্টেবল জোটন ও টারজান বড়ুয়াকে। হামলার কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশাসহ সড়কে বিভিন্ন পরিবহন চলাচল করছে। অবৈধ এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে বুধবার সকাল থেকে শহরের বাগবাড়ির মেঘনা সড়কে ট্রাফিক পুলিশ অভিযান শুরু করে। এ সময়  কাগজপত্র না থাকায় কয়েকটি অটোরিকশাকে আটক করে ট্রাফিক পুলিশ। এ ঘটনার জের ধরে চালকরা ট্রাফিক পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দুই পুলিশ কনস্টেবল দৌড়ে পাশের হাজি মার্কেটে আশ্রয় নেয়। অপর পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক সবুজ মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে উত্তেজিত চালকরা লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এতে এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে অবরুদ্ধ দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এদিকে অটোরিকশা চালকরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সড়কে তাদেরকে মাসোহারা দিতে হয়। অভিযানের নামে সড়কে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সয়ম গাড়ি আটকিয়ে টাকা আদায় করা হয়। কোনো অজুহাত ছাড়াই কয়েকটি অটোরিকশা আটক করে মামলা দেয় ট্রাফিক পুলিশ। এর জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। লক্ষ্মীপুর ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন পরিবহনের বিরুদ্ধে সকাল থেকে অভিযান চালায় ট্রাফিক পুলিশ।এ সময় মেঘনা সড়কের মুখে অভিযান চালানোর সময় ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা চালায় চালকরা। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। কী কারণে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। সেটা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।