রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে নতুন ভবনে ফাটল দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫ নিরব হাসান ইব্রাহিম।। রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে ছাত্রদের পড়াশুনার সুবিধা দিতে লাইব্রেরি, স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য ব্যায়ামাগার,বিনোদনের জন্য টিভি রুম ও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সহ ডাইনিং এর ব্যাবস্থা করার উদ্দ্যেশ্যে গত বছরের মাঝের দিকে একটি দুই তলা ভবনের কাজ শেষ হয়। তারপর আন্দলন ও নানা সমস্যা থাকার কারণে ভবনটি উদ্ভোধন করতে আরও পাঁচ মাস সময় নেয় ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষ।এরপর গত ২৫ শে নভেম্বর ভবনটি উদ্ভোধন করা হয়। ভবনটি উদ্ভোধন করেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুঃ যহুর আলী, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ ইব্রাহিম আলী সহ অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্রাবাসের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ভবনটির উদ্ভোধনের দিনই সকলে খেয়াল করেন দুই তলার প্রায় প্রতিটি কক্ষের দেয়ালে অনেক খানি করে ফাটল। এই ফাটল বেশ গভির ও দৃশ্যমান অবস্থায় রয়েছে। এতে করে সাধারন ছাত্র ও কর্মচারী বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায় লাইব্রেরি কক্ষ,টিভি কক্ষ,বাথরুম, রিডিং রুম সহ উপর তলার প্রায় প্রত্যেকটা রুমেই কোন না কোন দেয়ালে ফাটল রয়েছে। উল্লেখ্য ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এর সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জানান লিটন ভবনের কাজ উদ্ভোধন করেন। এ ব্যাপারে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, নতুন ভবনে আজকাল এরকম ফাটল হরহামেশায় দেখা যায়। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই এমন কি এই ভবন ধসে পড়ার সম্ভাবনাও নাই। আমরা যারা নতুন বাসাতে উঠেছি তারাও এমন ফাটল লক্ষ্য করেছি। যদি মেরামত করার প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা মেরামতের ব্যাবস্থা করবো। তিনি আরও জানান এরকম ফাটল নিচ তলায় ও দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে তবে ভয়ের কিছু নেই। রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক আবু জাফর মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান,আমরা দায়িত্ব পাওয়ার আগেই ভবনের কাজ শেষ হয় এবং টিকাদার প্রতিষ্ঠান ভবনটি হস্তান্তর করার সুযোগ পায়নি, ফলে তাদের কাছে আমরা প্রশ্ন করার সুযোগ পায়নি। তবে আমরা ধারনা করছি ভবনটির এমন ফাটলে তেমন কোন ঝুকি নেই। ইঞ্জিনিয়ার দেখানো হয়েছে কি এমন প্রশ্নে তিনি জানান, না এখনও দেখানো হয়নি। তবে প্রয়োজন পড়লে আমরা ইঞ্জিনিয়ার দেখিয়ে কিভাবে ফাটলটা ঢাকা যায় সেটি আলোচনা করে ব্যাবস্থা নিব। এ বিষয়ে ছাত্রাবাসের একজন ছাত্র মারুফ আহম্মেদ বলেন, নতুন ভবনে এরকম বড় বড় ফাটল আসলেই ঝুঁকি বলে মনে হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি একজন ইঞ্জিনিয়ার ডেকে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হোক। অন্য একজন শিক্ষার্থী মামুন বলেন, উদ্ভোধনের দিনই যদি ফাটল দেখা যায় তাহলে ভবনের স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে উদ্ভোধন এর প্রায় দুইমাস পার হলেও কোন সমাধান না করায় আমরা হতাশ। এরকম একটা ঝুঁকি নিয়ে লাইব্রেরি ও টিভি কক্ষ ব্যাবহার করতে আমরা অস্বস্তি বোধ করছি। SHARES সারা বাংলা বিষয়: