বাউফলে কোটি টাকা মুক্তিপণের জন্য ডাকাতি শেষে অপহরণ করা হয় ব্যবসায়ীকে। দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:০৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫ মোঃ রুবেল হোসেন ।। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া বন্দরের মার্চেন্টপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী শিবানন্দ রায় বণিক ওরফে শিবু বণিককে (৭৬) অপহরণ ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণের কাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটিও জব্দ করা হয়। ডাকাতি করে নগদ অর্থ লুট ও অপহরণ করে অনেক টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্যই এঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় আজকের তিনজনসহ মোট আট ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (৩১জানুয়ারি) তথ্য ও প্রযুক্তির সহযোগিতায় ঢাকা, গাজীপুর ও পটুয়াখালীতে অভিযান চালিয়া মূলহোতা আব্দুল্লাহ আল নোমান তিনজনকে গ্রেফতার করে বাউফল থানা পুলিশ। পরে রাত ৮টায় গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানায় বাউফল থানা পুলিশ। গ্রেফতার তিন জনের মধ্যে অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী আবদুল্লাহ আল নোমান (২২) উপজেলার বড় ডালিমা গ্রামের ছালাম সরদারের ছেলে এবং গ্রেফতার মো. কাওছার হোসেন (২৩) উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা বশার ব্যাপারীর ছেলে ও মো. বেল্লাল হোসেন (২৫) মতলেব হাওলাদারের ছেলে। এরআগে গত ৫ই জানুয়ারি এই মামলায় আরো পাঁচ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছিলো বাউফল থানা পুলিশ। তারা ৫জনই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছিলো। ব্যবসায়ী অপহরণ ও ডাকাতির ঘটনার মামলার তদন্ত অফিসার ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম জানান, গত ৩জানুয়ারি- শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে কালাইয়া বন্দরের মার্চেন্টপট্টি এলাকায় কানু প্রিয় ভান্ডারের দুই কর্মচারীকে বেঁধে রেখে প্রতিষ্ঠানে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা লুট করে এবং অস্ত্রের মুখে প্রতিষ্ঠানটির মালিক শিবু বনিককে অপহরণ করেছিলো ডাকাতদল। পরে নির্জন এলাকায় নিয়ে একটি ঘরে চোখ মুখ বেধে ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে পরিবারের কাছে মুঠোফোনে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণের ৫২ঘন্টা পরে ৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার কচুয়া গ্রাম থেকে শিবু বনিককে উদ্ধার করে আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। পরেরদিন ডাকাতি ও অপহরণে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং এঘটনায় ব্যবহৃত পাঁচটি দেশীয় অস্ত্র, সাতটি মুঠোফোন, দুই জোড়া জুতা, অপহরণে ব্যবহৃত ‘মানকি’ টুপি ও লুটের দেড় লাখ টাকা জব্দ করা হয়। অতিরিক্ত অর্থ প্রাপ্তি লোভে এই ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ইতিপূর্বে গ্রেফতার ঝালকাঠির মাসুদ শরীফ (২৪) শিবু বণিকেরই একটি কোম্পানির এসআর হিসেবে কাজ করতেন। তার পরামর্শে প্রধান আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমান পরিকল্পনা করে ডাকাতির সরঞ্জাম সংগ্রহ করে এবং ঘটনার নেতৃত্ব দেয়। এরআগে গ্রেফতার অন্যরা হলেন, বাউফলের বড় ডালিমা গ্রামের মো. মিরাজ মৃধা (২০), মো. জহির প্যাদা (২৭), বিধান চন্দ্র মিস্ত্রি (২২) ও ভোলার দক্ষিণ আইচার চর পাচুকিয়া গ্রামের এক কিশোর জানিয়েছেন মি. আতিকুল। এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, নয় সদস্যের ডাকাত দল এ ঘটনায় জড়িত। মূল পরিকল্পনাকারীসহ ডাকাত দলের আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুব শিগগির বাকি একজনকেও গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ী শিবু বনিক ওই বন্দরের একজন বড় ব্যবসায়ী। তিনি কয়েকটি কোম্পানির পণ্যের পরিবেশক। এ ছাড়া চাল, ডাল, আটাসহ বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি বিক্রেতা তিনি। SHARES সারা বাংলা বিষয়: