ভারপ্রাপ্তের ভারে ভারাক্রান্ত নিকলীর প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:২৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫ রাখী গোপাল দেবনাথ।। কিশোরগঞ্জের নিকলীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের পদ ও সহকারী শিক্ষক সংকট রয়েছে । শিক্ষক স্বল্পতায় পাঠদান কার্যক্রমে চলছে নাজুক অবস্থা।ভারপ্রাপ্তের ভারে ভারাক্রান্ত প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। নিকলী উপজেলায় ৬০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে । এর মধ্যে ৬০ টি প্রধান শিক্ষক ও ৩৩১ টি সহকারী শিক্ষক পদ রয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের ২৬ টি ও সহকারী শিক্ষকের ৩৩ টি পদ শূন্য হয়ে আছে। প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ এবং পদোন্নতি বন্ধ থাকায় দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে।পদোন্নতি বন্ধ থাকায় সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। সহকারী শিক্ষকরা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করায় তারা ক্লাসও নিতে পারছেন না সঠিকভাবে। দাপ্তরিক সকল কার্যক্রমেই চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষককে সময় দিতে হচ্ছে উপজেলায়। বিপুলসংখ্যক পদ খালি থাকায় পাঠদান কার্যক্রম চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এতে করে সন্তানদের পড়াশোনা নিয়েও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। অভিভাবক রহিম মিয়া বলেন শিক্ষক সংকট সমস্যার যত দ্রুত সমাধান হবে, বিদ্যালয়গুলোর ফলাফল ততো ভালো হবে।পাঠদানের গুনগতমান ততো বৃদ্ধি পাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী শিক্ষক বলেন , একজন শিক্ষকের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি সামলে আরো ৫ থেকে ৬টি ক্লাসের পাঠটিকা প্রস্তুত করা খুবই কষ্টকর। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহসিনা সোবহান বলেন শিক্ষক সংকটের কারনে শিক্ষকদের অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হচ্ছে।অতিরিক্ত চাপ নিচ্ছে বিধায় শিক্ষকরা রেষ্ট পাচ্ছে না। প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একমত প্রকাশ করে বলেন শিক্ষক সংকট ও অতিরিক্ত ক্লাসের কারনে পাঠদানের গুনগত মান শিক্ষকরা ঠিক রাখতে পারছে না ।তিনি আরো জানান, উপজেলার শিক্ষকের শূন্য পদের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। যথাসময়ে এসব শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: