নিকলীতে আট মাস ধরে এসিল্যান্ড নেই,দুর্ভোগে জনগন

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:০৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫
রাখী গোপাল দেবনাথ।। কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় আট মাস ধরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেই।  সহকারী কমিশনার (ভূমি)  পদটি শূন্য থাকায় ভূমি অফিসের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। বিশেষ করে, জমি কেনাবেচা, নাম খারিজ, ভূমি উন্নয়ন কর, সেবা মিলছে না সঠিক সময়ে। সঠিক সময়ে জমি খারিজ না করার কারণে জমি বেচাকেনা করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। তাছাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি)   সরকারি কাজের পাশাপাশি  অর্পিত সম্পত্তি , পরিত্যক্ত ও খাসজমির পাশাপাশি সরকারি হাটবাজার, জলমহল ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। নিকলী উপজেলা হাওরঅঞ্চলের অধিভুক্ত হওয়ায় জলমহল ব্যবস্থাপনায় অনেক কাজ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাহত হচ্ছে বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কাজ। এতে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, নিকলী তৎকালীন ময়মনসিংহের একটি মহাকুমা ও কিশোরগঞ্জের ব্যস্ততম একটি উপজেলা। নিকলীতে অনেক জমি বেচাকেনা ও নিবন্ধন হয়ে থাকে। জমি বিক্রি করতে গেলে নামজারি, বাটোয়ারানামা ও খাজনা পরিশোধ করতে হয়। এসব কাজ সম্পাদন করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি)  থাকা আবশ্যক। কিন্তু গত   জুন/২৪  মাসের মধ্যবর্তী সময় তৎকালীন সহকারী  কমিশনার ( ভূমি)  প্রীতি লতা বর্মন  বদলি হয়ে টাংগাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় যোগদান করেন । এরপর থেকে  নিকলীতে সহকারী কমিশনার( ভূমি) পদে আর কাউকে পদায়ন করা হয়নি। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পাপিয়া আক্তার নিজ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি  উপজেলা পরিষদ ও ভূমি অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় তাঁর পক্ষে নিয়মিত ভূমি অফিস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পাপিয়া আক্তার এ বিষয়ে বলেন বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি)  শূন্য পদে কর্মকর্তা নিয়োগ দিলে  ভারমুক্ত হব। তাতে মাঠ প্রশাসনে আরও গতিশীলতা আসবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)  নাহিদ হাসান খান জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়  প্রতিমাসেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানিয়ে আসছেন।আশা করি খুব শ্রীঘই সমস্যা সমাধান হবে।