৭ মাসে ধরে বেতন বন্ধ পাননি, কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ৫:১৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫ দেশের গ্রামীণ পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলতে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে থাকেন এই স্বাস্থ্য কর্মীরা। অথচ গত সাত মাস ধরে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ১৯ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের (সিএইচসিপি/স্বাস্থ্যকর্মী) বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। কবে পাবেন বেতন তার নেই কোনো নিশ্চয়তা। বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন, এই স্বাস্থ্যকর্মীরা। জানা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এতে সিএইচসিপি হিসেবে ১৯ জন কর্মরত আছেন। তারা গ্রামীণপর্যায়ে অসহায় গরিব মানুষের চিকিৎসা, গর্ভবতী ও প্রসূতি, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা, ইপিআই, কিশোর-কিশোরী ও নব-বিবাহিতদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন। কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে তাদের বেতন-ভাতা দেননি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই স্বাস্থ্য কর্মীরা দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়ায় যেনো হতাশায় দিন কাটছে তাদের। এ বিষয়ে আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের ইউনিয়নের বাসুলী কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মোজাম্মেল বলেন, গত ৭ মাস ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ। এতদিন ধার-দেনা করে পরিবার ও ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে হয়েছে। এখন তো পরিবারের খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছি। উপজেলার হোসেনপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিতে বর্তমান সময়ে আমাদের সামান্য বেতন দিয়ে খুব কষ্টে সংসার চালাই। তারপরও ৭ মাস ধরে বেতন নাই। বেতন-ভাতা বন্ধের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) অ্যাসোসিয়েশনের জেলা শাখার সভাপতি মোরশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, জেলার ৩১৫ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিদের একই অবস্থা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের গাফিলতির কারণে আমরা গত সাত বছর ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। চরম হতাশার মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছি। কারণ এই চাকরির ওপর নির্ভর করে আমাদের সংসার চলে। দ্রুত বেতন ভাতা না দিলে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে। এবিষয়ে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, সিএইচসিপিদের বেতন বন্ধ থাকায় আমরা ব্যথিত। এটি সারাদেশেই একই চিত্র। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নিয়মিত অবগত করা হচ্ছে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: