রহনপুর জ্ঞানচক্র একাডেমির আয়োজনে পিঠাউৎসব অনুষ্ঠিত।

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫:২৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলিকে পরিচয় করিয়ে দিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে পিঠাউৎসব পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার রহনপুর জ্ঞানচক্র একাডেমির আয়োজনে এই পিঠাউৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপি এই উৎসবে ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত আনজুম অনন্যা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার রাইসুল ইসলাম, আলিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মোহাম্মদ মাসুম, রহনপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইছাহাক আলী, উপজেলা সমবায় অফিসার সুলতান আহমদে  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার আসমা খাতুন, জ্ঞানচক্র একাডেমীর পরিচালক সারোওয়ার হাবিব, প্রধান শিক্ষক নায়েমা খাতুন সহ অন্যরা। এদিকে প্রতিষ্ঠানে সকাল থেকে নাচগান, বাহারী নকশা ও হরেক রকম মজাদার পিঠা নিয়ে চলে এই উৎসব। মেয়েরা লাল হলুদ শাড়ী, মাথায় গাদাফুলের মালাসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা নতুন পোশাক পড়ে উৎসবে অংশ নেয়। এতে অভিভাবকরাও অংশে নেয় ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে। বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার্থীরা ৮ টি স্টলে হরেক রকম মজাদার পিঠা প্রদর্শিত করেন। পিঠা উৎসব নকশি পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, আন্দাশা, গড়াগড়ি পিঠা, তিল পিঠা, গোলাপ পিঠা, ফুল পিঠা, ভাপা সুইচ রোল, দুলি পিঠা, পেঁয়াজ পিঠা, কানমুচরী, ছানার পুলি, শঙ্ক পিঠাসহ আরও কত নামের পিঠা তৈরি করে আনা হয়। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নাসিম, রুকাইয়া ইসলাম তৃষাসহ অনেক শিক্ষার্থী বলেছেন, তাঁরা এত ধরনের পিঠা কখনো দেখিনি। জানতে পারলাম হারিয়ে যাওয়া পিঠাসহ নতুন পিঠার নাম। তাছাড়া তৈরি করা সুস্বাদু এই পিঠা খেয়ে ভাল লেগেছে। পড়ালেখার পাশাপাশি এ ধরনের উৎসবে অংশ নিয়ে মজা করলাম। কয়েকজন অভিভাবক জানান, পিঠা উৎসবের মধ্যে দিয়ে নতুন পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছে। বিদ্যালয়ের এই ধরনের আয়োজনে তাঁরা মুগ্ধ। সন্তানদের আনন্দ ও উল্লাস ছিল দেখার মত। জ্ঞান চক্রের পরিচালক ও পিঠা উৎসবের আয়োজক সারোওয়ার হাবিব বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা পুলির সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে ছেলে-মেয়েদের আনন্দের মাত্রাটা বেড়ে গেছে। এই ধরনের আয়োজন প্রতিবছর করার চেষ্টা করা হবে। গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত আনজুম অনন্যা বলেন এই উৎসবে অংশ নিয়ে আনন্দিত হয়েছি। শিক্ষার্থীদের পাঠাদানের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা করতে এ উৎসবের আয়োজন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে। এ ধরনের আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। পরে তিনি বিচারক হিসেবে পিঠা উৎসব অংশ নেওয়া তিনজন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী করেন। এতে ১ম হয়েছেন ৫ ম শ্রেনীর ছাত্রী মায়শা তাসনীম, ২য় ৫ ম শ্রনীর ছাত্র নাইমুল ইসলাম, ৩য় হয়েছেন প্লের ছাত্র ফাইম ফয়সাল।