পাহাড়পুরে অনুষ্টিত হল দেড়’শ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী সোমেশ্বরী মেলা। দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১:০০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫ আজমিরীগঞ্জের বদলপুরের পাহাড়পুরবাজার সংলগ্ন ফুটবল খেলার মাঠে প্রতিবছরের ফাল্গুন মাসের প্রথম সোমবার গতকাল অনুষ্টিত হচ্ছে দেড়’শ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী সুমেশ্বরী মেলা। ওই মেলাকে ঘিরে এলাকায় সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। এ উপলক্ষে মেলার একপাশে স্থাপিত মন্দিরে সুমেশ্বরী পূজা অনুষ্টিত হয়েছে। মেলায় হাজারো নারী পুরুষ আবাল বৃদ্ধ বনিতাদের উপস্থিতি ও তাদের কলকাললিতে মূখরিত হয়ে উঠেছে মন্দির সহ মেলা প্রাঙ্গণ। মেলায় প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান পশরা সাজিয়ে মেলাকে আরও সুসজ্জিত করে তুলেছে। গ্রামের শান্ত নিথর জীবনে ওই মেলা যেন আনন্দের বন্যা নিয়ে হাজির হয়। দৈনন্দিন জীবনের গণ্ডির বাইরে সুমেশ্বরী মেলা যেন একটা দমকা হাওয়া। যেখানে হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা। মানুষে মানুষে মিলবার জাত-পাত, ধর্মীয় পরিচয় পেছনে ফেলে এমন মিলবার জায়গা আর কোথায়? বাংলার এই মেলা ছাড়া! তবে আধুনিকতার অভিঘাতে ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলোর চরিত্র বদলাচ্ছে। আগে সব মেলাই ছিল গ্রামকেন্দ্রিক। গ্রামের মেলা যখন চরিত্র হারাচ্ছে কিংবা বন্ধ হতে বসেছে তখন সেই গ্রামীণ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ওই মেলার আয়োজন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের ধারায় মেলা অন্যতম অনুষঙ্গ। এক সময় পাহাড়পুরের সুমেশ্বরী মেলায় নাগরদোলা, পুতুলনাচ, সার্কাস ইত্যাদি বিনোদনমূলক প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হতো। কালের বিবর্তনে ছোট ছেলেমেয়েদের বিনোদনের জন্য শুধুমাত্র নাগরদোলা- ই দেখতে পাওয়া গেল । এছাড়া মাটির জিনিসপত্র, খেলনা সামগ্রী, কাপড়,মিষ্টি, বসাইর লাটি সহ অসংখ্য দোকান দেখতে পাওয়া গেল। সুমেশ্বরী মেলায় বিশেষকরে খিরা আখ ও বেল পূজার সামগ্রী হিসেবে সবচেয়ে বেশী বিক্রি হয়ে থাকে। এ বছর ওই সামগ্রী সমূহের মূল্য অত্যধিক ছিল । যা নিম্ন আয়ের মানুষরা কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। মেলা পরিদর্শন করেন আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবিড় রঞ্জন তালুকদার। বদলপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গৌউর হরি সরকার, যুগ্ন আহ্বায়ক কৃষ্ণ তালুকদার সহ বিএনপি নেএীবৃন্দ। মেলায় যাতে জুয়া খেলা সহ কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,উপজেলা প্রশাসন সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিএনপি নেএীবৃন্দ।আজমিরীগঞ্জ থানার এস আই শুভ দাস বলেন মেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা আছি। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেই। কঠোর নিরাপত্তার সহিত এই মেলা শেষ হয়েছে। SHARES ফিচার বিষয়: