ঝিনাইদহ আ’লীগ নেতাকে নিয়ে বিএনপি সভাপতি মজিদের সেলাই মেশিন বিতরণ।

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
ঝিনাইদহ সদর পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মাসুমকে সাথে নিয়ে সেলাই মেশিন বিতরণ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এমএ মজিদ। এ ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যপক আলেচানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। চলছে ফেসবুতে লেখা লেখি।
১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার জেলা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের উদ্দ্যোগে দারিদ্র বিমোচন প্রকল্পের আওতায় বিধবা অসহায় অতি দরিদ্র মহিলাদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে সেলাই প্রশিক্ষণের ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৬তম ব্যাচের নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ পৌর সভার প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায়। এছাড়া উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এমএ মজিদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. কামাল আজাদ পান্নু, জেলা চেম্বার অফ কমার্স এর সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তারুজ্জামন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা যুবদল সভাপতি ও আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব রনক। নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠনে তাদের বেশ খোশ মেজাজে দেখা যায়। এরকম কয়েকটি ছবি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “বিএনপি নিউজ ঝিনাইদহ” পেজে আপ করা হয়। সেখানে ক্যাপশন লেখো হয়। ইতিপূর্বে জেলা বিএনপি বিতর্কিত এ আওয়ামী লীগ নেতার অর্থায়নে ইফতার আয়োজন করে বলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস ইফতার বর্জন করেন। যা জেলা বিএনপিতে ব্যাপকভাবে আলোচিত সমালোচিত হয়। সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে এই আওয়ামী লীগ নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারে পতনের পর কেন্দ্রীয় বিএনপি’র দপ্তর থেকে বিতর্কিত অন্যদল থেকে আসা ব্যক্তিদের বিএনপিতে ভেড়ানো যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা আসে। ঝিনাইদহে বিভিন্ন প্রোগ্রামে বিএনপি নেতাদের সাথে প্রায়ই জেলার বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের দেখা যায়। যা তৃণমূলের বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিএনপি কর্মী বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি এম এন মমজিদ, আওয়ামী লীগ নেতা কে সাথে নিয়ে সেলাই মেশিন বিতরণের ঘটনাটি ফেসবুকে দেখে হতাশ হয়েছি। তার কাছ থেকে আমরা কখনোই এ ধরনের কাজ আশা করি না। এটা খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা। এ নিয়ে পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মাসুম জানান, আমি মানবিক ওই সংগঠনের অনেক আগে থেকেই সদস্য। আমি  সদস্য বলেই সেখানে গিয়েছিলাম বলে ফোন কেটে দেন। জেলা যুবদল সভাপতি ও আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম এর সাধারন সম্পাদক আহসান হাবীব রনক জানান, এটা মানবিক প্রতিষ্ঠান। সবার সহযোগীতায় প্রতিষ্ঠানটি চলে। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মিজানুর রহমান মাসুম ফাউন্ডার মেম্বার। নিয়মানুযায়ি তিনি নারীদের সেলাই মেশিন প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জেলা বিএনপির সভাপতি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এটাকে রাজনৈতিকভাবে দেখার কিছু নেই বলে আমি মনে করি। এ নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এমএ মজিদ এর সাথে কথা বলতে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।