কাশিয়ানীতে এক লেবু ২০ টাকা।

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২৫
মোঃ জামাল শেখ।।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী  বাজারে বেগুন, শসা ও লেবু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ইফতারে সরবতের প্রধান পণ্য লেবু রমজানের প্রথম দিনে বিক্রি হয়েছে হালি প্রতি সর্বোচ্চ ১২০ টাকা এবং সর্বনিম্ন হালি প্রতি ৮০ টাকা। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেবুর দাম বেড়েছে পাঁচগুণ।
খুচরা বাজারে একটি লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। অন্যদিকে রোজার প্রথম দিনে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজি। এ ছাড়া শশার কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।
মঙ্গলবার উপজেলার জয়নগর বাজার, বেলতলা বাজার,  ঘোনাপারা বাজার, সাজাইল বাজার, ভাটিয়াপাড়া বাজার রাজপাট বাজার,  রামদিয়া বাজার সহ বিভিন্ন হাট বাজার ও পাইকারি বাজার ঘুরে এমনটা জানা গেছে।
পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে ১০০ লেবু ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকায় এবং শসা ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে খুচরা পর্যায়ে লেবুর ধরণ ও আকারভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন আকারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি, খিড়া ৭০ টাকা কেজি, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, গাজর ৪০ টাকা কেজি, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
জয়নগর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ বলেন, গত এক সপ্তাহ হলো পাইকারি বাজারে লেবু, শসা ও বেগুনের দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে এক হালি লেবু ২০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন এক হালি লেবু ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করছি।’
মাজড়া বাজারের বিক্রেতা জানে আলম মোল্লা বলেন, বেশি দামে লেবু ক্রেতারা নিতে চান না। তাই লেবু কম এনেছি। সবকিছুর দাম কিছুটা বেড়েছে। আমরা পাইকারি বাজার থেকে ক্রয় করে সামান্য লাভে বিক্রি করি।
বেলতলা বাজারে আসা ক্রেতা মোঃ জামাল শেখ বলেন, ‘রোজার মাসে বেগুন, শসা ও লেবুর চাহিদা বেশি থাকে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দাম বৃদ্ধি করেছেন ব্যবসায়ীরা।  সাধারণ মানুষরা শুধু ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হই।’
কাশিয়ানী এলাকার বাসিন্দা হাবিব আহসান বলেন, ‘রোজায় বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত পরিবার লেবুর শরবত দিয়ে ইফতার করে। কিন্তু এবার লেবুর দাম বেশির কারণে ইফতার থেকে লেবুর শরবত বাদ দিতে হবে। এক হালি লেবুর দাম ডিমের দামের থেকেও বেশি। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লি¬ষ্টদের সুনজর দেওয়া দরকার।’
এদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, বেগুন, শসা ও লেবু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। এজন্য দাম বেড়েছ। শীতকালীন সবজি শেষ হচ্ছে। বেগুন, শসার ও লেবুর সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।