কয়রায় রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা। দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ১২:৩৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৫, ২০২৫ অরবিন্দ কুমার মণ্ডল।। কয়রায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, রহমত, মাগফিরাত ও জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির বার্তা নিয়ে আবারো আমাদের মাঝে হাজির হচ্ছে মহিমান্বিত মাস পবিত্র মাহে রমজান। তাই এ মাসে যথাযথভাবে সিয়াম ও কিয়াম পালনের মাধ্যমে নিজেদের গুনাহ মাফে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তিনি প্রান্তিক শ্রেণীর রোজাদারদের সিয়াম পালনে সার্বিক সহযোগীতা করার জন্য সমাজের সহৃদয় ও বিত্তবান মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। ৪ মার্চ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, কয়রা উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ইসলামী ছাত্রশিবির ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কর্মীদের নিয়ে পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপজেলা আমীর মাওলানা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা শেখ সাইফুল্লাহ আযাদ, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোল্যা শাহাবুদ্দিন, উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, কয়রা সদর ইউনিয়ন আমীর মুহাঃ মিজানুর রহমান, বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা আবু তাহের সহ অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দ। উপজেলা আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, মূলত রমজান মাস আত্মশুদ্ধি ও আত্মগঠনের মাস। এ মাসে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল হয়েছিলো বলেই এ মাসের মর্যাদা সমধিক। তাই এ মাসকে কুরআনের মাসও বলা হয়। পক্ষান্তরে মাহে রমজানে কুরআন নাযিল হওয়ার কারণে এ মহাগ্রন্থের মর্যাদাও সর্বোচ্চ পর্যায়ের। হাদিসে রাসূল (সাঃ)-এ উদ্ধৃত হয়েছে, ‘সে ব্যক্তিই হতভাগ্য যে রমজান মাস পেলো অথচ সে নিজের গোনাহ মাফ করে নিতে পারলো না’। তিনি এ মোবারক মাসে নিজেদের গোনাহ মাফ করে নিয়ে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানোর সকলের প্রতি আহবান জানান। SHARES সারা বাংলা বিষয়: