মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১:৪৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৫

মশার কামড়ে অতিষ্ঠ রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে থাকা শিক্ষার্থীরা। রাজশাহী কলেজের ঐতিহ্যবাহী মুসলিম ছাত্রাবাসে মশার উপদ্রব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। মশার কামড়ে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কায় দিনরাত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। মশার কামড়ে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে মশার উপদ্রব অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর সময় মশার কামড়ে বিশ্রাম নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ছাত্রাবাসের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন গুলো তৈরি করা হয়ে অপরিকল্পিত ভাবে। ড্রেনের পানি ড্রেনেই আবদ্ধ হয়ে থাকে। ফলে চারপাশে ব্যাপক দুর্গন্ধ ও মশার ডিম্বাণু জন্য হচ্ছে অপ্রত্যাশিতভাবে। মশার উপদ্রবে রাতের বেলা ঘরে পড়াশোনা করা যেনো একরকম জীবনযুদ্ধ হয়ে দাড়িয়েছে।

ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী খালিদ বলেন, দিনের বেলায়ও রুমে অবস্থান করা যাচ্ছে না। মশার উৎপাতে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে গেছে। এখন রমজান মাস চলছে, রাতে ঘুমানোর সময় মশার কামড় আমাদের জন্য বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছ।
ছাত্রাবাসের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, হোস্টেলের আশপাশের জলাবদ্ধতা এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ মশার বংশবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আমরা অনেকবার অভিযোগ জানিয়েছি কিন্তু হল প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ (আবির) বলেন, বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হল গুলোতে মশা এক যন্ত্রণাদায়ক পতঙ্গের নাম। বিরক্তিকর উপদ্রবের পাশাপাশি তারা রোগজীবাণু সংক্রামণ করে। এই মশা অনেক সময় মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এখানে কলেজ প্রশাসনের উচিত প্রাকৃতিক উপয়ে মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা করা। এছাড়াও হোস্টেল মাঠের ঘাসগুলো প্রতিনিয়ত কেটে ছোট করা এবং পরিষ্কার রাখলে মশার উপদ্রব কিছুটা কমবে।
মুসলিম ছাত্রাবাসের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক আবু জাফর মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি সিটি কর্পোরেশনের সাথে যোগাযোগ করেছি তারা ধোয়া দেয়ার পক্ষে না। তারা বলেছেন ধোঁয়া দিয়ে কোন কাজ হয় না, মশা নিধন হয় না। তার থেকে আমরা ড্রেন পরিষ্কার করার অভিযান চালাবো। পরে তাদের সাথে অনেকবার যোগাযোগ করেছি তারা বলেছে ড্রেন পরিস্কার অভিযান শুরু হলে জানাবো।
আরো বলেন, আমাদের ড্রেন আমরা যদি পরিষ্কার করি তাও কোন কাজ হবে না। শহরে পানি নিষ্কাশনের প্রধান ড্রেন রয়েছে। সেই ড্রেন জ্যাম বেঁধে আছে। সেখান দিয়ে কোন পানি যায়না। ফলে আমাদের হলের পানি আবদ্ধ অবস্থায় থাকে।
ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের দাবি, রাজশাহী কলেজের ঐতিহ্যবাহী ছাত্রাবাসে এমন দুর্ভোগ দীর্ঘস্থায়ী হলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ চরমভাবে ব্যাহত হবে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগের অবসান ঘটানো। যাতে ছাত্রাবাসে পড়াশোনার মান ফিরিয়ে আসে।