সিরাজগঞ্জের চৌহালী এনায়েতপুরে ঈদ সামনে রেখে তাঁতশিল্প শাড়ি-লুঙ্গি তৈরিতে ব্যস্ততা বেড়েছে

দেশসেবা দেশসেবা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২:৫৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২৫

ঈদ সামনে রেখে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও এনায়েতপুর,সহ অন্যান্য এলাকায় তাঁত কারখানাগুলো। ঈদে ব্যাপক চাহিদার কারণে কারখানার তাঁতি ও শ্রমিকেরা এখন শাড়ি-লুঙ্গি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিন-রাত চলছে বুননের নানা কাজ। জেলার পাইকারি হাটগুলোতেও বেচাকেনা এখন তুঙ্গে। জানা যায়,তাঁতশিল্পে সমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জে চৌহালী উপজেলাধীন এনায়েতপুরসহ সিরাজগঞ্জের অন্যান্য এলাকায় ১৪ হাজার ৮৪৯টি তাঁত কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় ৪ লাখ ৫ হাজার ৬৭৯টি তাঁত রয়েছে। এতে ২০ লাখ ৮ হাজার মানুষ নিয়োজিত থেকে শাড়ি, লুঙ্গি, ধুতি,গামছা, থ্রিপিস তৈরি করছে । তবে, ৯০ শতাংশ তাঁতে মূলত তৈরি হয় শাড়ি ও লুঙ্গি । বর্তমানে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ব্যাপক চাহিদা থাকায় সব কারখানায় দিন- রাত ব্যস্ততা বেড়েছে। এনায়েতপুর দক্ষিণ পারার তালতলা গ্রামের তাঁতশ্রমিক মাহমুদুল মাল, রঞ্জু কবিরাজ, খুশি আলম ও গোপালপুর গ্রামের বাহাউদ্দিন নুর হোসেনসহ অনেকে বলেন,আগে যেখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করেছি। এখন মহাজনের চাপ থাকায় ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছি। ফলে সাপ্তাহে ৩ হাজার টাকার বেশি মজুরি উঠছে। এতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুন্দরভাবে ঈদ করতে পারব।’ এদিকে ঈদ উপলক্ষ্যে ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা দামের সুতি জামদানি,বুটিক,ইকট, সিল্কসহ বাহারি নকশার অন্যান্য শাড়ি এবং ৪০০ থেকে ১০০০ টাকার লুঙ্গি বাজারে এনেছেন তাঁতিরা ।এ ব্যাপারে এনায়েতপুর দক্ষিণ পারার তালতলা একটি কারখানার মালিক মোঃ সবুর মোল্লা, ও হাজি শাহাদত মোল্লা, অন্য কারখানার মালিক হাজি রোকন খোকন মোল্লা বলেন ঈদ, আমাদের প্রধান মৌসুম। এ সময় চাপ ও বিক্রি বেশি হয় । আশা করছি, চলতি মৌসুমে জেলার তাঁতিরা প্রায় হাজার কোটি টাকার শাড়ি-লুঙ্গি বিক্রি করবেন। তবে, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির ফলে লাভের পরিমাণ আশা অনুযায়ী হবে না।তাই রং,সুতাসহ অন্যান্য জিনিসের দাম কমাতে হবে।’ এদিকে এখানে উৎপাদিত শাড়ির গুণমান ভালো হওয়ায় পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।