বকশীগঞ্জে মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজ এ টিসিবির পণ্য বিতরণ শুরু দেশসেবা দেশসেবা ডেস্ক রিপোর্ট প্রকাশিত: ২:৫৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২৫ মোস্তফা গাজী।। জামালপুরের বকশীগঞ্জে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মাসিক কর্মসূচির পণ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই উর্দ্ধমুখি বাজার দরের যাতাকলে বছর জুড়ে টিসিবি পণ্যে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে স্বল্প আয়ের মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ম আয়ের খেটে খাওয়া কার্ডধারী পরিবারের মানুষের মাঝে। বিশেষ করে রমজান মাসে দুইবার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো স্বল্পমূল্যে পেয়ে বেজায় খুশি উপজেলার সুবিধাভোগীরা। সারা দেশের মতো বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) থেকে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে উপজেলাতেও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে টিসিবি পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে নিয়োজিত ডিলাররা। এই টিসিবি পণ্য নিতে সকল শ্রেণির সুবিধাভোগীদের দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে। বিশেষ করে নারীদের দীর্ঘ লাইন ছিলো চোখে পড়ার মতো। জানা গেছে, প্রতিটি ইউনিয়নে বিভিন্ন তারিখে এই পণ্যগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। রমজান মাসে নির্দিষ্ট স্মার্ট কার্ডের বিপরীতে ভর্তুকি মূল্যে প্রতিটি প্যাকেজ মূল্য ৬৬০ টাকা। প্রতি প্যাকেজে ১৫০ টাকায় ৫ কেজি চাল, ৭০ টাকায় ১ কেজি চিনি, ১২০ টাকায় ২ কেজি ছোলা, ২০০ টাকায় ২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ও ১২০ টাকায় ২ কেজি মশুর ডাল প্রদান করা হচ্ছে। যা একটি পরিবারের জন্য প্রায় এক মাসের চাহিদা পূরণ করবে। কিন্তু রমজান মাসের জন্য আগামী সপ্তাহে একই টিসিবি পণ্য সুবিধাভোগীরা আরেকবার পাবেন। ফলে সুবিধাভোগী প্রতিটি পরিবারকে আর এই রমজান মাসে খোলা বাজার থেকে বেশি দামে এই পণ্যগুলো কিনতে হবে না। গত (৮ মার্চ ) শনিবার বাট্টাজোর ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাই এ পণ্য বিতরণ শুরু করেন। টিসিবির ডিলার জাকারিয়া হাসান বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে সরকারের নিয়ম মাফিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এবং পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান, সদস্য ও অন্যদের সার্বিক সহযোগিতায় পণ্যগুলো বিতরণ করছি। মোবাইল অ্যাপসে ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিতরণ করার কারণে একজনের পণ্য অন্যকে প্রদান করার কোন সুযোগ নেই। তাই আমরা স্বচ্ছতার মাধমে কোন প্রকারের অভিযোগ ছাড়াই পণ্যগুলো বিতরণ করে স্বস্তি পাচ্ছি। এছাড়া কাউকে বাদ দিয়ে সেই পণ্যগুলো বাহিরে বিক্রির কোন সুযোগ নেই। টিসিবি বিতরণের সকল তথ্য সঙ্গে সঙ্গে সার্ভারে সংরক্ষিত হওয়ার কারণে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা চাইলেই সকল তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন। তাই টিসিবি বিতরণে কোন অনিয়ম করার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। ট্যাগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুজ্জামান বলেন,স্ব স্ব ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কঠোর নজরদারীর মাধ্যমে এই পণ্যগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। যেহেতু ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের মাধমে টিসিবি বিতরণ করা হচ্ছে, সেহেতু কোন প্রকারের অনিয়ম করার সুযোগ নেই। তাই টিসিবি বিতরণে ডিলার কিংবা অন্য কারও কোন অনিয়ম করারও সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, টিসিবি বিতরণে কোন অনয়িমের অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেহেতু মোবাইল অ্যাপসে প্রতি গ্রাহকের তথ্য পূরণ করে টিসিবি পণ্য দিতে হচ্ছে, সেহেতু একটু সময় লাগতে পারে। তাই কোন হট্টগোল না করে ধৈর্য্য সহকারে উপজেলার সুবিধাভোগীদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে টিসিবি পণ্য গ্রহণ করে সরকারের গ্রহণ করা ভালো উদ্যোগকে শতভাগ সফল করার প্রতি অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা। SHARES সারা বাংলা বিষয়: